দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে সতর্কতা প্রয়োজন রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৪:২৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ১৭১ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
দুর্নীতির সংবাদ অবশ্যই হবে। যা কিনা দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় ড. হাছান বলেন, আমরা আগেও দেখেছি, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই বিশেষ মহলের সঙ্গে দুই-একটি সংবাদমাধ্যমও যুক্ত। দেশে দুর্নীতি হলে সেটি অবশ্যই সংবাদে আসবে।
বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ পরিবেশিত হলে, বুঝতে হবে এটি ষড়যন্ত্রের অংশ। তদন্তের আগে গণমাধ্যমের সামনে কাউকে দুর্নীতিবাজ বলাও সমীচীন নয়।
অবশ্যই দুর্নীতির সংবাদ আসবে এবং সেটি দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। কোনও নিরপরাধ মানুষ যাতে ভিকটিম না হয়, কোনও প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস হিসেবে যেন কোনও সংবাদ পরিবেশন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন পরবর্তী ৮০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরপর বিএনপির বেলুন ফিউজ হয়ে গেছে।
এখন তারা অভ্যন্তরীণ সংকটে নিমজ্জিত। সে কারণে দেখা যায়, মধ্যরাতে কমিটি বাতিল, আবার ভোররাতে আরেকজনকে বহাল। এটি বিএনপির মধ্যে এখন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে কীভাবে।
বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় একটি শিরোনাম দেখলাম মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি। একটি দলের ৮ থেকে ৯ বছর কোনও সম্মেলন হয় না। আবার দেখলাম, কয়েক ডজন পদ কোনও সম্মেলন ছাড়াই তারা পূরণ করে দিয়েছে।
খালেদা জিয়া তো বহুদিন ধরে অসুস্থ। মহাসচিব খোঁজার শিরোনামের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্নার কোনো সংযোগ আছে কিনা, এটা খুঁজে দেখার বিষয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন,
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী শিকদার প্রমুখ।