দুর্নীতি যে-ই করুক রক্ষা নেই: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১০:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা অব্যাহত থাকবে। সে যেই হোক, দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে তাকেই ধরা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি।
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিক রাষ্ট্র পরিচালনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনও পিছিয়ে পড়েনি, এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ পিছিয়ে যাবে না। যে যতই চেষ্টা করুক, দেশকে ধ্বংস করতে পারবে না। এই স্বপ্নযাত্রার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এ দেশের মানুষ।
বাংলাদেশের জনগণ কর্মঠ, সৃজনশীল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু মাঝখানে দুষ্টু প্রকৃতির থাকে। ওগুলোকে ধর্তব্যে নিই না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করেছি ও উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদান নিয়ে বিরোধী দলসহ অন্যান্যদের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সব দেশে দাম বেড়ে গেছে। ঢাকা শহরে একটা কাঠা জমি থাকলে কয়েক কোটি টাকার মালিক। এভাবে অনেক সময় কিছু করতে গেলে অতিরিক্ত অর্থ চলে আসে।
যা কিনা তারা বাজেটে দেখাতে পারে না। সেটা তারা আয় কর দিতে পারে না। আয়কর দিয়ে যাতে তারা মূল ইসে ফিরে আসে, মানে আয়কর দিয়ে মূল জনগোষ্ঠীতে ফিরে আসে, আর এই ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না করে, সেই জন্যই মাঝে মাঝে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়।
অতীতে খালেদা জিয়াও এমন সুযোগ নিয়েছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের সুযোগ খালেদা জিয়া নিয়েছিল, ড. কামাল হোসেন নিয়েছিল এবং আরো অনেকে নিয়েছিল। তারাও একই ভাবে সেই ২০০৭/২০০৮ বা তার পরবর্তীতে কালো টাকা বৈধ করে নিয়েছিল।
এমনকি বিএনপির সাইফুর রহমানও করেছে। এরশাদ সাহেবও বোধ হয় করেছিলেন। মনে হয় একটু খোঁজ নিতে হবে। আমি জানি না আমাদের বিরোধী দলের নেতাও করেছিলেন কি না।
বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তারা বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল, সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সে ধারাবাহিকতা আমাদের আছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের কিন্তু নিজেদের ঘোষণাপত্র আছে, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি।