ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী Logo ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোবিন্দগঞ্জে অপহরনকৃত মেয়েকে উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo কেশবপুরে কুটির শিল্পের নতুন দিগন্ত খায়রুল আনাম Logo সোনাগাজীতে একের পর এক চুরি-ডাকাতি, অভিযোগে করেও মামলা হয় না Logo বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান Logo নোয়াখালী জজ কোর্টের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা Logo ‘বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মতবিনিময়’ Logo লাশ পোড়ানো অগ্নিসংযোগ ও জখম মামলায় আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ ১৮জন গ্রেপ্তার Logo ঝিনাইগাতীর ৯ গ্রামের ভাগ্যচিত্র বদলে দিতে পারে এক ব্রীজে

বাগেরহাটে সংসদীয় আসন পূর্ণবহালের দাবিতে হরতাল

দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করায় ফুসে উঠেছে বাগেরহাটবাসী ।সকাল থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতাল পালিত হচ্ছে জেলাজুড়ে। দূরপাল্লার ১৬টি অভ্যন্তরীণ রুটসহ জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
হরতালের কারণে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে স্বাভাবিক পরিবহন না থাকায় মানুষকে ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যানে দ্বিগুণ ভাড়া গুনে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দশানীর মোড়, খান জাহান আলী মাজার মোড়, মুনিগঞ্জ সেতু ও দরটানা টোলপ্লাজা ঘুরে দেখা গেছে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, অথচ কোনো বাস আসছে না। দোকানপাটও বেশিরভাগই বন্ধ ছিল ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে।
যাত্রী রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সকালে অফিসে যাবো বলে বের হয়েছি। কিন্তু কোনো বাস নেই ইজিবাইকে সাধারণত ২০ টাকা ভাড়া হলেও আজ দিতে হলো ৫০ টাকা। প্রতিদিনই যদি এভাবে বাড়তি খরচ হয় তাহলে চলা কঠিন হয়ে যাবে।
হকার শেখ হৃদয় আহমেদ বলেন,হরতালের কারণে সকাল থেকে আমরা রাস্তায় বসতে পারছি না। দোকানপাট বন্ধ মানুষের চলাফেরাও কমে গেছে। এতে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পরিবার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
সাধারণ চালকরা বলছেন সড়কে গাড়ি না থাকায় ছোট ছোট যানবাহনের ওপর চাপ বেড়েছে।
রিকশাচালক মো. কুদ্দুস বলেন, আজ রাস্তায় ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। আমাদেরও ঝুঁকি আছে তবুও মানুষ না নামলে তারা কিভাবে যাবে?
এদিকে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও জজ আদালতের সামনে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।
হরতাল প্রসঙ্গে বাগেরহাট থেকে একটি আসন কমানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের স্বার্থেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। এ আন্দোলন বাগেরহাটের মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন।
হরতালের কারণে জেলার মানুষজন মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জীবনে ভোগান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কবে তারা এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে?

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে সংসদীয় আসন পূর্ণবহালের দাবিতে হরতাল

দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী

আপডেট সময় :

বাগেরহাটে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করায় ফুসে উঠেছে বাগেরহাটবাসী ।সকাল থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতাল পালিত হচ্ছে জেলাজুড়ে। দূরপাল্লার ১৬টি অভ্যন্তরীণ রুটসহ জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
হরতালের কারণে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে স্বাভাবিক পরিবহন না থাকায় মানুষকে ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যানে দ্বিগুণ ভাড়া গুনে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দশানীর মোড়, খান জাহান আলী মাজার মোড়, মুনিগঞ্জ সেতু ও দরটানা টোলপ্লাজা ঘুরে দেখা গেছে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, অথচ কোনো বাস আসছে না। দোকানপাটও বেশিরভাগই বন্ধ ছিল ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে।
যাত্রী রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সকালে অফিসে যাবো বলে বের হয়েছি। কিন্তু কোনো বাস নেই ইজিবাইকে সাধারণত ২০ টাকা ভাড়া হলেও আজ দিতে হলো ৫০ টাকা। প্রতিদিনই যদি এভাবে বাড়তি খরচ হয় তাহলে চলা কঠিন হয়ে যাবে।
হকার শেখ হৃদয় আহমেদ বলেন,হরতালের কারণে সকাল থেকে আমরা রাস্তায় বসতে পারছি না। দোকানপাট বন্ধ মানুষের চলাফেরাও কমে গেছে। এতে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পরিবার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
সাধারণ চালকরা বলছেন সড়কে গাড়ি না থাকায় ছোট ছোট যানবাহনের ওপর চাপ বেড়েছে।
রিকশাচালক মো. কুদ্দুস বলেন, আজ রাস্তায় ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। আমাদেরও ঝুঁকি আছে তবুও মানুষ না নামলে তারা কিভাবে যাবে?
এদিকে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও জজ আদালতের সামনে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।
হরতাল প্রসঙ্গে বাগেরহাট থেকে একটি আসন কমানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের স্বার্থেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। এ আন্দোলন বাগেরহাটের মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন।
হরতালের কারণে জেলার মানুষজন মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জীবনে ভোগান্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কবে তারা এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে?