ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ইসলামপুরের সবজির সুনাম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

দেশজুড়ে বাড়তি চাহিদা, শসায় জমজমাট পাইকারি বাজার

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় এবার শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামপুরের শসা এখন আর শুধু স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নেই জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক মিল্লাত জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শসার উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। পাইকারি দামও বেশ সন্তোষজনক। প্রতিকেজি শসা মাঠ থেকে ২৫–৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮–১০ টাকা বেশি।
সাজেলেরচর বাজারের ব্যবসায়ী মাওলানা হযরত আলী মিলন বলেন, এখানে শসার পাইকারি বাজার থাকায় কেনাবেচা বেড়েছে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছে।
স্থানীয় শসা ব্যবসায়ী আশরাফ মোল্লা ও শাহিন মিয়া জানান, আগে আমরা শুধু স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতাম। এখন কৃষকদের কাছ থেকে শসা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছি। এতে কৃষক লাভবান হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সাজেলেরচর বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ মন শসা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ইসলামপুর উপজেলায় খরিফ–২ মৌসুমে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ছিল প্রায় ৩০ টন, ফলে মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯০০ টন। অন্যদিকে রবি মৌসুমে শসা আবাদ আরও বিস্তৃত হয়। এ মৌসুমে প্রায় ২২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি কাঙ্ক্ষিত গড় ফলন ৩৫ টন ধরে এই মৌসুমে মোট ৭,৭০০ থেকে ৮,০০০ টন শসা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উৎপাদন বাড়ায় স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামপুরের শসার উল্লেখযোগ্য সরবরাহ হচ্ছে।
কৃষকদের আশা, সরকারি পর্যায়ে পরিবহন সুবিধা ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে ইসলামপুরের শসা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসলামপুরের সবজির সুনাম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

দেশজুড়ে বাড়তি চাহিদা, শসায় জমজমাট পাইকারি বাজার

আপডেট সময় :

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় এবার শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামপুরের শসা এখন আর শুধু স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নেই জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক মিল্লাত জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শসার উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। পাইকারি দামও বেশ সন্তোষজনক। প্রতিকেজি শসা মাঠ থেকে ২৫–৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮–১০ টাকা বেশি।
সাজেলেরচর বাজারের ব্যবসায়ী মাওলানা হযরত আলী মিলন বলেন, এখানে শসার পাইকারি বাজার থাকায় কেনাবেচা বেড়েছে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছে।
স্থানীয় শসা ব্যবসায়ী আশরাফ মোল্লা ও শাহিন মিয়া জানান, আগে আমরা শুধু স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতাম। এখন কৃষকদের কাছ থেকে শসা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছি। এতে কৃষক লাভবান হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সাজেলেরচর বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ মন শসা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ইসলামপুর উপজেলায় খরিফ–২ মৌসুমে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ছিল প্রায় ৩০ টন, ফলে মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯০০ টন। অন্যদিকে রবি মৌসুমে শসা আবাদ আরও বিস্তৃত হয়। এ মৌসুমে প্রায় ২২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি কাঙ্ক্ষিত গড় ফলন ৩৫ টন ধরে এই মৌসুমে মোট ৭,৭০০ থেকে ৮,০০০ টন শসা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উৎপাদন বাড়ায় স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামপুরের শসার উল্লেখযোগ্য সরবরাহ হচ্ছে।
কৃষকদের আশা, সরকারি পর্যায়ে পরিবহন সুবিধা ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে ইসলামপুরের শসা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।