ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশ ছেড়ে মতিউরের উড়াল!

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: এনবিআর কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

দেশ ছেড়ে মতিউরের উড়াল! এনবিআর সূত্রের খবর, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর দেশ ত্যাগ করেন। সোমবার (২৪ জুন) তার বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।

দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ৪ জুনের কমিশন সভায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পঞ্চম বারের মতো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন।

অবশ্য এর আগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিগত ১৮ বছরের ব্যবধানে ৪ দফা তথা ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার অনুসন্ধান করে দুদক। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে নথিভুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দুদক।

সেই মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এবারে ৫ম দফা অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। এরই মধ্যে মতিউর রহমানকে এবারে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

সোমবার (২৪ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মতিউর রহমান ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ এই দুই বছর বেনাপোল বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন। সে সময়ই তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুস নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ দেশে-বিদেশে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন এই কর্মকর্তা। এসব সম্পদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক তার বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান টিম গঠন করে ২০০০ সালের দিকে। তখন দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রেখে ২০০৪ সালে অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়।

রোববার (২৩ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনাল থেকে মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশ ছেড়ে মতিউরের উড়াল!

আপডেট সময় : ০৩:৫১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

দেশ ছেড়ে মতিউরের উড়াল! এনবিআর সূত্রের খবর, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর দেশ ত্যাগ করেন। সোমবার (২৪ জুন) তার বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।

দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ৪ জুনের কমিশন সভায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পঞ্চম বারের মতো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন।

অবশ্য এর আগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিগত ১৮ বছরের ব্যবধানে ৪ দফা তথা ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার অনুসন্ধান করে দুদক। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে নথিভুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দুদক।

সেই মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এবারে ৫ম দফা অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। এরই মধ্যে মতিউর রহমানকে এবারে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

সোমবার (২৪ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মতিউর রহমান ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ এই দুই বছর বেনাপোল বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন। সে সময়ই তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুস নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ দেশে-বিদেশে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন এই কর্মকর্তা। এসব সম্পদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক তার বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান টিম গঠন করে ২০০০ সালের দিকে। তখন দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রেখে ২০০৪ সালে অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়।

রোববার (২৩ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনাল থেকে মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।