ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

শ্যামনগরে সড়ক মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ডাম্পার

ধুলাবালিতে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ

মোহা: হাবিবুল্যাহ বেলালী, শ্যামনগর সাতক্ষীরা
  • আপডেট সময় : ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনকারী ডাম্পার, ট্রাক্টর (টলি) ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানবাহন। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে শব্দদূষণ। বাতাসে ওড়া ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। বাড়ছে স্থাথ্য ঝুঁকি। এদিকে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সোনার মোড়,মুন্সিগঞ্জ সড়কে অবৈধ ভাবে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে বে- পরোয়া ডাম্পার চলাচল বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুনের পরামর্শে শ্যামনগর সহকারী কমিশনার ভুমি ও পৌর প্রসাশক আব্দুল্লাহ আল রিফাত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে  ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

প্রসাশনের তৎপরতা কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে  অবৈধ ডাম্পার মালিকরা বে- পরোয়া হয়ে উঠেছে, কোন কিছু না মেনে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের স্বার্থে সাধারন পথচারীদের আতংক ও পরিবেশ নষ্ট কারী ডাম্পার চালানো অব্যাহত রেখেছে তারা।
শুক্রবার সকালে চন্ডিপুর যমুনা খাল সংলগ্ন রাস্তায় অবৈধ ডাম্পার চলাচলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় খুটি পুতে ডাম্পার চলাচল বন্ধের চেষ্টা করে কিন্তু ডাম্পার মালিক পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামবাসীদের উল্টো হয়রানী করার হুমকি দেখিয়ে তারা বহাল তবিয়তে ডাম্পার চালানো অব্যাহত রেখেছে,ভুক্তভোগীরা বলছে,পবিত্র রমজানে ধুলা বালিতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে,বাহিরে বের হতে পারছে,কে শুনে কার কথা।

প্রশাসনের কাছে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি, বালু ও ইটবাহী ডাম্পার, ট্রাক্টর, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চলছে। মাটি, ইট ও বালুবাহী অতিরিক্ত ওজনের এসব গাড়ির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পাকা সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব যানবাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।

শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত  বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। এসব অবৈধ যানবাহন এর বিষয়ে প্রশাসন এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই, তিনি এ ধরনের অবৈধ যানবাহন বন্ধের লক্ষ্যে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ কর্মী  আব্দুল্লাহ আল মামুন  বলেন, ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনের ডাম্পার, ট্রাক্টরের চাকায় কোটি কোটি টাকার সড়ক নষ্ট হচ্ছে। শব্দদূষণ ও ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। প্রাণহানিও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শ্যামনগরে সড়ক মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ডাম্পার

ধুলাবালিতে  অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ

আপডেট সময় :

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনকারী ডাম্পার, ট্রাক্টর (টলি) ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানবাহন। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে শব্দদূষণ। বাতাসে ওড়া ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। বাড়ছে স্থাথ্য ঝুঁকি। এদিকে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সোনার মোড়,মুন্সিগঞ্জ সড়কে অবৈধ ভাবে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে বে- পরোয়া ডাম্পার চলাচল বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুনের পরামর্শে শ্যামনগর সহকারী কমিশনার ভুমি ও পৌর প্রসাশক আব্দুল্লাহ আল রিফাত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে  ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

প্রসাশনের তৎপরতা কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে  অবৈধ ডাম্পার মালিকরা বে- পরোয়া হয়ে উঠেছে, কোন কিছু না মেনে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের স্বার্থে সাধারন পথচারীদের আতংক ও পরিবেশ নষ্ট কারী ডাম্পার চালানো অব্যাহত রেখেছে তারা।
শুক্রবার সকালে চন্ডিপুর যমুনা খাল সংলগ্ন রাস্তায় অবৈধ ডাম্পার চলাচলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় খুটি পুতে ডাম্পার চলাচল বন্ধের চেষ্টা করে কিন্তু ডাম্পার মালিক পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামবাসীদের উল্টো হয়রানী করার হুমকি দেখিয়ে তারা বহাল তবিয়তে ডাম্পার চালানো অব্যাহত রেখেছে,ভুক্তভোগীরা বলছে,পবিত্র রমজানে ধুলা বালিতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে,বাহিরে বের হতে পারছে,কে শুনে কার কথা।

প্রশাসনের কাছে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি, বালু ও ইটবাহী ডাম্পার, ট্রাক্টর, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চলছে। মাটি, ইট ও বালুবাহী অতিরিক্ত ওজনের এসব গাড়ির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পাকা সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব যানবাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।

শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত  বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। এসব অবৈধ যানবাহন এর বিষয়ে প্রশাসন এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই, তিনি এ ধরনের অবৈধ যানবাহন বন্ধের লক্ষ্যে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ কর্মী  আব্দুল্লাহ আল মামুন  বলেন, ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনের ডাম্পার, ট্রাক্টরের চাকায় কোটি কোটি টাকার সড়ক নষ্ট হচ্ছে। শব্দদূষণ ও ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। প্রাণহানিও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।