ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

নবীনগরে সরকারি জায়গা দখল করে বালু ব্যবসার অভিযোগ

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ভিটিবিশাড়া গ্রামে সরকারি অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে বালু ভরাট ও ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সোহাগ মিয়া ও জয়নাল মিয়ার বিরুদ্ধে। গত বুধবার (২৩ জুলাই) এই বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় অর্ধশত স্বাক্ষরসংবলিত একটি লিখিত অভিযোগ নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বায়তুল মামুন মসজিদের সামনে এবং যমুনা নদীর পাড়ে অবস্থিত সরকারি জায়গা ড্রেজারের মাধ্যমে বালু দিয়ে ভরাট করে সেখানে বালুর ব্যবসা করছেন অভিযুক্তরা। এর ফলে সরকারি ঘাটলা ব্যবহারে নারী-পুরুষদের ভোগান্তির পাশাপাশি নদীর পাড়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ ও সড়কের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বারবার নিষেধ করার পরও প্রভাব খাটিয়ে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে।
বায়তুল মামুন জামে মসজিদের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান বলেন, “এভাবে মসজিদের সামনে বালুর ব্যবসা ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করছে, নারীদের চলাফেরাতেও বিঘ্ন ঘটছে।”
অভিযুক্তদের একজন সোহাগ মিয়া বলেন, “আমরা কৃষকের জমি ভরাট করছি, সরকারি জমি আছে কি না জানি না। থাকলে ছেড়ে দেব।” তিনি স্বীকার করেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নবীনগরে সরকারি জায়গা দখল করে বালু ব্যবসার অভিযোগ

আপডেট সময় :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ভিটিবিশাড়া গ্রামে সরকারি অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে বালু ভরাট ও ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সোহাগ মিয়া ও জয়নাল মিয়ার বিরুদ্ধে। গত বুধবার (২৩ জুলাই) এই বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় অর্ধশত স্বাক্ষরসংবলিত একটি লিখিত অভিযোগ নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বায়তুল মামুন মসজিদের সামনে এবং যমুনা নদীর পাড়ে অবস্থিত সরকারি জায়গা ড্রেজারের মাধ্যমে বালু দিয়ে ভরাট করে সেখানে বালুর ব্যবসা করছেন অভিযুক্তরা। এর ফলে সরকারি ঘাটলা ব্যবহারে নারী-পুরুষদের ভোগান্তির পাশাপাশি নদীর পাড়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ ও সড়কের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বারবার নিষেধ করার পরও প্রভাব খাটিয়ে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে।
বায়তুল মামুন জামে মসজিদের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান বলেন, “এভাবে মসজিদের সামনে বালুর ব্যবসা ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করছে, নারীদের চলাফেরাতেও বিঘ্ন ঘটছে।”
অভিযুক্তদের একজন সোহাগ মিয়া বলেন, “আমরা কৃষকের জমি ভরাট করছি, সরকারি জমি আছে কি না জানি না। থাকলে ছেড়ে দেব।” তিনি স্বীকার করেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”