ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

নাফ নদীতে বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার
  • আপডেট সময় : ৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাদক ও চোরাচালান দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বদা সজাগ। এর ধারাবাহিকতায়, নাফ নদীতে এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে।
গতকাল রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ আনুমানিক রাত ১২.৫০ ঘটিকায়, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, মায়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হবে । গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি, পরিকল্পনা সাঁজান এবং গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনে তার নেতৃত্বে ২ বিজিব’র বেশ কয়েকটি অভিযানিক দল অপরাধীদের ধরতে নাফ নদীর বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ফাঁদ পাতে। ১৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে, আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সাঁতরে আসতে দেখা গেলে আগে থেকেই বিজিবির ওঁৎ পেতে থাকা নৌটহল দলগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী জলসীমায় অতর্কিতে অভিযান শুরু করে। মাদক কারবারিদের পালিয়ে যেতে দেখে বিজিব’র নৌটহল দল বিদ্যুৎ গতিতে তাদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা মাদকের প্যাকেটগুলো নদীতেই ছেড়ে দিয়ে দ্রুত মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর, চৌকস টহল দলগুলো দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে সমন্বয় করে পানিতে ভাসমান ইয়াবার প্যাকেটগুলো উদ্ধার করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসে। ইয়াবা’র প্যাকেট গুলো গণনা করে মোট দুই লাখ চল্লিশ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে মায়ানমার অংশে ঢুকে পড়ায় ঘটনাস্থলে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলে ও আসামীদের নাম পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাফ নদীতে বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

আপডেট সময় :

মাদক ও চোরাচালান দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বদা সজাগ। এর ধারাবাহিকতায়, নাফ নদীতে এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে।
গতকাল রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ আনুমানিক রাত ১২.৫০ ঘটিকায়, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, মায়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হবে । গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি, পরিকল্পনা সাঁজান এবং গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল জোরদার করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনে তার নেতৃত্বে ২ বিজিব’র বেশ কয়েকটি অভিযানিক দল অপরাধীদের ধরতে নাফ নদীর বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ফাঁদ পাতে। ১৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে, আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সাঁতরে আসতে দেখা গেলে আগে থেকেই বিজিবির ওঁৎ পেতে থাকা নৌটহল দলগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী জলসীমায় অতর্কিতে অভিযান শুরু করে। মাদক কারবারিদের পালিয়ে যেতে দেখে বিজিব’র নৌটহল দল বিদ্যুৎ গতিতে তাদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা মাদকের প্যাকেটগুলো নদীতেই ছেড়ে দিয়ে দ্রুত মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর, চৌকস টহল দলগুলো দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে সমন্বয় করে পানিতে ভাসমান ইয়াবার প্যাকেটগুলো উদ্ধার করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসে। ইয়াবা’র প্যাকেট গুলো গণনা করে মোট দুই লাখ চল্লিশ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে মায়ানমার অংশে ঢুকে পড়ায় ঘটনাস্থলে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলে ও আসামীদের নাম পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।