নালিতাবাড়ীতে স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ৪৩ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজার শাখা শাহীন স্কুলের পরিচালক শাহ আলমের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,শাহীন স্কুল নন্নী বাজার শাখার পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকে শাহ আলম অধিকাংশ অভিভাবক,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করায় কতিপয় মেধাবী শিক্ষার্থী স্কুল থেকে চলে যান। পরিচালক শাহ আলমের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করালেও তারা অত্র স্কুল থেকে পদত্যাগ করে চলে যান। আরো ১-২ জন শিক্ষক চলে যেতে পারে। বিভিন্ন অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে উক্ত পরিচালক তর্ক-বির্তক ও দুর্ব্যবহার করেন। সে যোগদানের পর নানা কৌশলে অভিভাবকের নিকট অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
সম্প্রতি শাহীন স্কুল নন্নীবাজার শাখায় (র্যাফেল ড্র) লটারীর নামে ক্রিকেট খেলার আড়ালে পরিচালক শাহ আলম হাজার-হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি,নেতৃবৃন্দ ও জন প্রতিনিধির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সুত্র জানায়,এ শাখায় যোগদানের আগে টাঙ্গাইলে প্রশিক্ষণকালে শাহ আলমের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর অভিযোগ উঠায় সাধারণ শিক্ষক হিসেবে তাকে শাহীন স্কুল শেরপুর সজবরখিলা শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়। বদ মেজাজী ও অহংকারী পরিচালক শাহ আলমের প্রতি অনেকে বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ হওয়ায় শাহীন স্কুল নন্নী বাজার শাখার সুনাম ও ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল,অভিভাবক,ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান এবং আঞ্চলিক প্রধানের কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অত্র স্কুলের অভিভাবক আশ্রাফুল আলম উজ্জল বলেন,পরিচালক শাহআলম অভিভাবক,শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করেন। নানা অনিয়ম ও অহংকারী কথা বলায় মিটিংএ সে অপমানিত হয়। কৌশলে অভিভাবকদের কাছ থেকে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিভাবক- হালিমা খাতুন বলেন,আমার বাচ্চার জন্য টাই কিনতে গেলে গুছিয়ে কথা না বলায় বকা-বকি ও অপমান করে পরিচালক শাহ আলম আমাকে অফিস থেকে বের করে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থীর পিতা জানান,আমার সামনে তুচ্ছ বিষয়ে এক সিনিঃ শিক্ষককে তিনি অপমান ও দুর্ব্যবহার করেন।
সদ্য পদত্যাগ করা এক শিক্ষক বলেন, আমরা বিনাবেতনে প্রায় ৩ মাস যাবত দিন-রাত কষ্ট করে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছি। নারী কেলেঙ্কারির জন্য অত্র স্কুলের তৎকালীন এক পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই শুন্য পদে যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া পরিচালক শাহ আলম, শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে নানা ভাবে চাপে রাখেন। ফলে কয়েকজন শিক্ষক চলে গেছেন। চাকরী চলে যাওয়ার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন-না। শিক্ষার্থীদের নানা প্রকার শাস্তি ও দিয়ে থাকেন,কর্তৃপক্ষ দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পরিচালক শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটা তুচ্ছ ঘটনা। ক’জন শিক্ষক নিজে পদত্যাগ করেছেন। কাউকে চাকুরীচূত্য করিনি, আমি কারো সাথে দুর্ব্যবহার করিনাই।
এব্যাপারে শাহীন স্কুলের আঞ্চলিক প্রধান আব্দুল গফুর সাংবাদিকদের জানান,শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের কপি পেয়েছি, এব্যাপারে তাকে নোটিশ করা হয়েছে। অভিভাবকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমন্বয় করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


















