নিকলীতে বিএনপির কমিটি গঠনে অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ১৪ বার পড়া হয়েছে
আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ও ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে বিএনপির নিকলী উপজেলা শাখা গঠনের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠছে পদবঞ্চিত নেতা ও দলের একাংশের সাধারণ কর্মীবৃন্দ। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর তারা গতকাল শনিবার দুপুরে নিকলী উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীগণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিএনপির নতুন বাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্ুখে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসিরুজ্জামান আসলাম, কামরুল হাসান, আলম মেম্বার, লাল মিয়া, মোজাম্মেল হক, সি এম হাসান অক্ষয় প্রমুখ। বক্তাগণ অভিযোগ করেন, গত ১৪ জানুয়ারি নিকলী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু সভাপতি ও আতিকুল ইসলাম তালুকদার হেলিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বলে তারা অভিযোগ করেন। দীর্ঘদিন পর গত ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনে তারা বলেন, পছন্দের লোকজনদের দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং কমিটিতে ব্যাপক আত্মীয়করণ করা হয়েছে। যোগ্য লোককে যোগ্য পদ দেওয়া হয়নি, বরং তাদেরকে পদবঞ্চিত করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তারা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দিকেও অঙ্গুলি তুলে ধরে ঘোষণা করেন, তারা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিকলীতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে বক্তাগণ জানান।
পরে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান। পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যাপারে ব্যাপক আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোনো গঠনতান্ত্রিক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান দেওয়ার বিধান থাকলেও এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। জীবনে কোনদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না এবং গত ১৭ বছর আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে মিলে-মিশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন, এমন লোকজনও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। তিনি নিকলী উপজেলা কমিটি অনতিবিলম্বে বাতিলসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তিনি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের এখতিয়ার সম্পূর্ণভাবে জেলা বিএনপির। তবে আমার সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটি গঠন করলে ভুল-ত্রুটি আরও কম হতো।