ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

নিজের শেষ সম্বল একটি কিডনি বিক্রি করে বসবাস করতে চান মহাদেবপুরের সুলতান মাহমুদ

এস এম শামীম হাসান, মহাদেবপুর (নওগাঁ)
  • আপডেট সময় : ৪৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অসহায় সুলতান মাহমুদ (৬০)দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিলতা সহ শারীরিক রোগে ভুগছেন। সুলতান মাহমুদ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বিশ্ববাঁদ এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। সুলতান মাহমুদ একজন দেশের ভূমিহীন মানুষ এবং অসহায় নাগরিক। উপজেলার বিশ্ববাঁদে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দীর্ঘ ২০ বছর যাবত বসতবাড়ি স্থাপন করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসতেছে। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় এই যে, তার থাকার জায়গায় অর্থাৎ বসতবাড়ির পিছনে মোস্তফা নামে একজন প্রভাবশালী বসতবাড়ি স্থাপন করেন এবং তার ছোট্ট টিনের বাড়িটি সরিয়ে ফেলার কথা বলেন। কয়েকবার তার বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হামলাও করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় সকল নেতাকর্মীদের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাইলেও তারা এই বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেইনি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন পেশায় কাজ করে পরিবারের সকল খরচ চালান। কিন্তু বয়সের ভার বেশি হওয়ায় এখন ঠিকমতো কাজকর্ম করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, বৃষ্টি হলে তার ঘরটি বাধের নিচে হওয়ায় সমস্ত পানি তার ঘরে জরো হয়। ঘরের ভীতর একটি খাল কাটা আছে যেখানে পানি জড়ো হলে সেচে ফেলে দেন। আমার পরিবারে আমার ছেলে একজন শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী, আমার ছেলেকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা করাতে অনেক অর্থ ব্যায় হচ্ছে। আমার পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা ভাত তুলে দেওয়ায় জন্য আমি নীরলস পরিশ্রম করে আসছি। বর্তমানে আমার কাছে কোন প্রকার অর্থ না থাকার কারণে আমার একটি কিডনি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিডনি বিক্রির টাকায় একটি ছোট্ট জায়গা ক্রয় করে যেন পরিবারের সকলের থাকার মত একটি পরিবেশ করে দিতে পারে এই জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাই তিনি সহ তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের দানশীল, উপজেলা প্রশাসন ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সুলতান মাহমুদ কে সাহায্য দিতে বিকাশ নং ০১৭৩৫৬১১৫৩৩ নম্বরে কথা বলে পাঠাতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিজের শেষ সম্বল একটি কিডনি বিক্রি করে বসবাস করতে চান মহাদেবপুরের সুলতান মাহমুদ

আপডেট সময় :

অসহায় সুলতান মাহমুদ (৬০)দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিলতা সহ শারীরিক রোগে ভুগছেন। সুলতান মাহমুদ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার বিশ্ববাঁদ এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। সুলতান মাহমুদ একজন দেশের ভূমিহীন মানুষ এবং অসহায় নাগরিক। উপজেলার বিশ্ববাঁদে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দীর্ঘ ২০ বছর যাবত বসতবাড়ি স্থাপন করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসতেছে। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় এই যে, তার থাকার জায়গায় অর্থাৎ বসতবাড়ির পিছনে মোস্তফা নামে একজন প্রভাবশালী বসতবাড়ি স্থাপন করেন এবং তার ছোট্ট টিনের বাড়িটি সরিয়ে ফেলার কথা বলেন। কয়েকবার তার বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হামলাও করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় সকল নেতাকর্মীদের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাইলেও তারা এই বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেইনি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন পেশায় কাজ করে পরিবারের সকল খরচ চালান। কিন্তু বয়সের ভার বেশি হওয়ায় এখন ঠিকমতো কাজকর্ম করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, বৃষ্টি হলে তার ঘরটি বাধের নিচে হওয়ায় সমস্ত পানি তার ঘরে জরো হয়। ঘরের ভীতর একটি খাল কাটা আছে যেখানে পানি জড়ো হলে সেচে ফেলে দেন। আমার পরিবারে আমার ছেলে একজন শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী, আমার ছেলেকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা করাতে অনেক অর্থ ব্যায় হচ্ছে। আমার পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা ভাত তুলে দেওয়ায় জন্য আমি নীরলস পরিশ্রম করে আসছি। বর্তমানে আমার কাছে কোন প্রকার অর্থ না থাকার কারণে আমার একটি কিডনি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিডনি বিক্রির টাকায় একটি ছোট্ট জায়গা ক্রয় করে যেন পরিবারের সকলের থাকার মত একটি পরিবেশ করে দিতে পারে এই জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাই তিনি সহ তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের দানশীল, উপজেলা প্রশাসন ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সুলতান মাহমুদ কে সাহায্য দিতে বিকাশ নং ০১৭৩৫৬১১৫৩৩ নম্বরে কথা বলে পাঠাতে পারেন।