ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা আসবে প্রধান উপদেষ্টার তরফে প্রেস উইং

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বাকিরা যাঁরা কথা বলছেন, সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এ কথা বলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

রোববার  ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখন মানুষের জানার আগ্রহ, কবে নির্বাচন হতে পারে। এর মধ্যে একজন উপদেষ্টা লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে, যা গণমাধ্যমে এসেছে। আসলে নির্বাচন কবে হতে পারে?

এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর দপ্তর থেকে নির্বাচনের কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের তারিখ তিনিই ঘোষণা দেবেন এবং তাঁর পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে। বাকি যাঁরা বলেছেন, তা নিজেদের মতামত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রত্যেকে তাঁর মতামত দিতে পারেন। কিন্তু সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সম্পূর্ণ আইন মেনে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, গুম কমিশন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বা জমা দেয়নি। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে গুম কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাঁরা একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবেন। তার ভিত্তিতে সরকার যদি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন মনে করে, তাহলে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন, বিষয়টি যেহেতু এখন আদালতে আছে, আইনি প্রক্রিয়াতেই সরকার এর সমাধান চায়।

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরসহ সাংবাদিকদের হয়রানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। নিউ এজ সম্পাদকের ঘটনার বিষয়ে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, অন্য কোনো বিষয়েও যদি সরকারের নজরে আনা হয়, তাহলে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নজরে আনা না হলেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত তালিকা সংশোধন করার জন্য ‘ম্যানুয়ালি’ (হাতে-কলমে) কাজ করা হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করার বিষয়টি বিবেচনায় আছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এখানে ভিন্নমতের ব্যক্তি বা সাংবাদিকদের নাম থাকবে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বলে ওনাকে বিদেশে গমনে বিরত রাখতে হবে বা আদালতের আদেশ থাকে।

এই পুরো বিষয়গুলো যাতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে থাকে। তিনি বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ নীতিমালা, যেটা আপনিও জানতে পারবেন, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকও এই বিষয়টি জানতে পারবেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা আসবে প্রধান উপদেষ্টার তরফে প্রেস উইং

আপডেট সময় : ১১:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

 

আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বাকিরা যাঁরা কথা বলছেন, সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এ কথা বলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

রোববার  ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখন মানুষের জানার আগ্রহ, কবে নির্বাচন হতে পারে। এর মধ্যে একজন উপদেষ্টা লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে, যা গণমাধ্যমে এসেছে। আসলে নির্বাচন কবে হতে পারে?

এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর দপ্তর থেকে নির্বাচনের কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের তারিখ তিনিই ঘোষণা দেবেন এবং তাঁর পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে। বাকি যাঁরা বলেছেন, তা নিজেদের মতামত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রত্যেকে তাঁর মতামত দিতে পারেন। কিন্তু সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সম্পূর্ণ আইন মেনে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, গুম কমিশন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বা জমা দেয়নি। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে গুম কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাঁরা একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবেন। তার ভিত্তিতে সরকার যদি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন মনে করে, তাহলে ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন, বিষয়টি যেহেতু এখন আদালতে আছে, আইনি প্রক্রিয়াতেই সরকার এর সমাধান চায়।

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরসহ সাংবাদিকদের হয়রানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। নিউ এজ সম্পাদকের ঘটনার বিষয়ে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, অন্য কোনো বিষয়েও যদি সরকারের নজরে আনা হয়, তাহলে ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নজরে আনা না হলেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত তালিকা সংশোধন করার জন্য ‘ম্যানুয়ালি’ (হাতে-কলমে) কাজ করা হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করার বিষয়টি বিবেচনায় আছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এখানে ভিন্নমতের ব্যক্তি বা সাংবাদিকদের নাম থাকবে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বলে ওনাকে বিদেশে গমনে বিরত রাখতে হবে বা আদালতের আদেশ থাকে।

এই পুরো বিষয়গুলো যাতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে থাকে। তিনি বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ নীতিমালা, যেটা আপনিও জানতে পারবেন, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকও এই বিষয়টি জানতে পারবেন।’