ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

নির্বাচন-সংস্কার নিয়ে অনাবশ্যক বিতর্কের অবকাশ নেই – মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন। জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান। জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা। গতকাল শনিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে সংস্কার পরে; এ ধরনের অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি (সংস্কার সনদ) তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তী সময়ে যা বাস্তবায়ন করবে। মির্জা ফখরুল মনে করেন, এখন অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করা। যাতে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা যায়। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত ঐকমত্যের সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে। কেননা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং ন্যায় বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্পাদন সম্ভব।
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে। যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচন-সংস্কার নিয়ে অনাবশ্যক বিতর্কের অবকাশ নেই – মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন। জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান। জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা। গতকাল শনিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে সংস্কার পরে; এ ধরনের অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি (সংস্কার সনদ) তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তী সময়ে যা বাস্তবায়ন করবে। মির্জা ফখরুল মনে করেন, এখন অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করা। যাতে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা যায়। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত ঐকমত্যের সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে। কেননা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ এবং ন্যায় বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্পাদন সম্ভব।
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে। যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।