নীলফামারীতে নারী সাংবাদিকরে উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ৪৮ বার পড়া হয়েছে
গত ৮ জুলাই মঙ্গলবার নারী সাংবাদিক স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহে্র ওপর সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক হামলা ও হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর গণমাধ্যমের কর্রীরা। এছাড়াও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখা গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ একজন আইনজীবীকে।
নারী সাংবাদিক স্বপ্নার উপর হামলার প্রতিবাদে নীলফামারী জজকোর্ট এর বিজ্ঞ পিপি অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী তার ফেসবুক পোস্টে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, একই ভাবে পোস্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স এবং পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৪ জুলাই সোমবার সকালে নীলফামারীর জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির গণমাধ্যম কর্মীরা মানববন্ধন করেছে। জলঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে শহরের জিরো পয়েন্টে এবং কিশোরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে থানার মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান সুমন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারু অর রশিদ এর সঞ্চালনায় এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিনুর রহমান, তিনি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ্ ও কয়েকজন সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে লক্ষিচাপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জঙলী পাড়া গ্রামে গেলে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও তার সাঙ্গপাঙ্গ সাংবাদিকদের ঘিরে ধরে টানা হ্যাচরা ও গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানার হাতে থাকা ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন, এবং মহিলা সাংবাদিক স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ্ কে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা শহর থেকে আত্মীয় স্বজন ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিশোরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আব্দুল মান্নান ও সঞ্চালনা করেন আনোয়ার। এনটিভি মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক শাকিল ইসলাম বলেন, আমরা অবাক হই নীলফামারী থানার আইও দিলিপ রায় মামলাটি নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে এবং ঘটনাস্থলে না গিয়ে চেয়ারম্যানের সাজানো গোছানো কথা ওসি কে জানিয়ে মামলা রেকর্ডে বাঁধা সৃষ্টি করেছেন। আরও অবাক হই, ফ্যাসিস্টের দোসর এই আমিনুর রহমানের কথা কিভাবে থানা পুলিশ শুনছে! আমাদের দাবি দ্রুত মামলা আমলে নিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করুন। মানববন্ধনে রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




















