ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মাত্র ৩ টাকায় সুস্বাদু রসগোল্লা! Logo বেওড়া বা ভেলা ভাসান উৎসব: লোক ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা ও মিলনমেলা Logo আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার হলেও বাকিরা ডিমলায় প্রকাশ্যে ঘুরছেন Logo উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার Logo মোংলা সমুদ্র বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়ছে Logo পুঠিয়ায় কলা বাগান থেকে মিললো যুবকের লাশ Logo নুরাল পাগলের ভক্ত রাসেল হত্যায় ৪ হাজার আসামীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২ Logo নিজ সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ মায়ের, ইউএনও’র অভিযানে যুবকের জেল Logo নওগাঁয় তারেক রহমানের ৩১ দফা, নতুন প্রজন্মের জন্য অঙ্গীকার

নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

গাজী রুবেল, নোয়াখালী ব্যুরোপ্রধান
  • আপডেট সময় : ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে এটাকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। রোববার (২৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সাত্তার (৩৬) উপজেলার একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক ছিলন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত্তার স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। শনিবার রাতে কে বা কারা তাকে ডেকে নেয়। ভোর ৪টার দিকে বাড়ির সামনের একটি গাছে সাত্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই মুফতি আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, জায়গা জমি ও মাটি কাটা নিয়ে আমার কাকা এছাক, জেঠাতো ভাই হারুন ও বাবুলের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। এছাড়া মাটি কাটা নিয়ে আমানিয়া ব্রিক ফিল্ডের তারেক ও আরিফের সাথে আমার ভাই সাত্তারের বিরোধ দেখা দেয়। তারা এক জোট হয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। অভিযুক্তদের মুঠোফোনে কল করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের স্বজনরা দুজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিক ভাবে এটাকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

আপডেট সময় :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে এটাকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। রোববার (২৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সাত্তার (৩৬) উপজেলার একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজি বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক ছিলন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত্তার স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। শনিবার রাতে কে বা কারা তাকে ডেকে নেয়। ভোর ৪টার দিকে বাড়ির সামনের একটি গাছে সাত্তারের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই মুফতি আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, জায়গা জমি ও মাটি কাটা নিয়ে আমার কাকা এছাক, জেঠাতো ভাই হারুন ও বাবুলের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। এছাড়া মাটি কাটা নিয়ে আমানিয়া ব্রিক ফিল্ডের তারেক ও আরিফের সাথে আমার ভাই সাত্তারের বিরোধ দেখা দেয়। তারা এক জোট হয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। অভিযুক্তদের মুঠোফোনে কল করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের স্বজনরা দুজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। প্রাথমিক ভাবে এটাকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।