নোয়াখালীতে ৫ দফা দাবিতে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০১:০২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৮ম পর্যায়) পাশ সহ ৫ দফা দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ। রোববার দুপুরে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ নোয়াখালী শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করেন জেলার মসজিদ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫শতাধিক শিক্ষক। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের নোয়াখালীর ফিল্ড অফিসার মো. খোরশেদ আলম, ফিল্ড সুপারভাইজার মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম হেলালি, মো: সোহেল মাহমুদ ও মো. মনির হোসেন’সহ অনেকে।
পাঁচ দফা দাবিসমূহ হলো:
১. প্রকল্প স্থায়ীকরণ করতে হবে। কোন ভাবেই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নেওয়া যাবেনা।
২. নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৮ম পর্যায়) মাহে রমজানের মধ্যে পাশ করতে হবে।
৩. বেতন বৃদ্ধি সহ ঈদুল ফিতরের পূর্বে বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে।
৪. শিক্ষক / শিক্ষিকাগণের প্রয়োজনে কেন্দ্র স্থানান্তরের সুযোগ প্রদান করতে হবে।
৫. শিক্ষক / শিক্ষিকাগণ অসুস্থ্য, অবসর অথবা মৃত্যুবরণ করলে শিক্ষক তহবিল গঠন করে এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে।
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ৭ম পর্যায় (৩১.১২.২০২৪ খ্রি.) পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সারা দেশব্যাপী ৭৩ হাজার ৭৬৮টি শিক্ষা কেন্দ্র ও ২ হাজার ৫০টি রিসোর্স সেন্টারের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েও বর্তমানে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে সাড়া দেশের মসজিদ অবকাঠামো ব্যবহার করে দারিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদেরকে বিনামূল্যে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ, কিশোর কিশোরী ও বয়স্কদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষা দান করে আসছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম ওলামা ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার নারী ও পুরুষের দারিদ্র্যতা দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম) পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন হলেও দীর্ঘ ৩২ বছরের এই শিক্ষামূলক প্রকল্পটিকে আউটসোসিং করার চিন্তা ভাবনা চলছে। যেখানে ৯% হিন্দুদের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি আউটসোর্সিং করা হয়নি সেখানে ৯০% মুসলমানের দেশে কুরআন শিক্ষা প্রকল্পকে আউটসোর্সিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে কুরআন শিক্ষার প্রকল্পটি ধ্বংস করা হবে।