ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ

গণমুক্তি ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৯০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পদত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ। তিনি পশ্চিম তীরে শাসন কার্যক্রম ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। মূলত গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছে তার সরকার।

বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদ শাতায়েহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং গাজায় নজিরবিহীন গণহত্যার প্রতিবাদে তার সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ফিলিস্তিনের সরকার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপের মধ্যেই মোহাম্মদ শাতায়েহর পদত্যাগের খবর এলো। শাতায়েহর পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কার্যত গোটা মন্ত্রিসভার পতন ঘটলো।

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্টের কাছে সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মূলত পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমে নজিরবিহীন উত্তেজনা ও গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও অনাহারের আলোকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেছেন, আমি পরবর্তী পর্যায় দেখতে পাচ্ছি, যেখানে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য নতুন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন যা গাজায় উদ্ভূত নয়া বাস্তবতাকে আমলে নেবে ও ফিলিস্তিনি ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুসালেম- তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিন। এই তিন অঞ্চলই একসময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং অন্য গোষ্ঠীগুলোর জোট প্যালেস্টাইন অথরিটির (পিএ) অধীনে ছিল, কিন্তু ২০০৫ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে।

১৯৫৮ সালে পশ্চিম তীরের নাবলুস জেলার তেল শহরে জন্ম নেওয়া শাতায়েহ ব্যবসায় প্রশাসন এবং অর্থনীতে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর উচ্চতর ডিগ্রিও নিয়েছেন তিনি।

পশ্চিম তীরের বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের নির্বাচন কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন শাতায়েহ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সরকারের কর্মসংস্থা ও আবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

২০১৯ সালে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হন শাতায়েহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ

আপডেট সময় : ০৭:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

পদত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ। তিনি পশ্চিম তীরে শাসন কার্যক্রম ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। মূলত গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছে তার সরকার।

বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদ শাতায়েহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং গাজায় নজিরবিহীন গণহত্যার প্রতিবাদে তার সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ফিলিস্তিনের সরকার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর ক্রমবর্ধমান মার্কিন চাপের মধ্যেই মোহাম্মদ শাতায়েহর পদত্যাগের খবর এলো। শাতায়েহর পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কার্যত গোটা মন্ত্রিসভার পতন ঘটলো।

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্টের কাছে সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মূলত পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমে নজিরবিহীন উত্তেজনা ও গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও অনাহারের আলোকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেছেন, আমি পরবর্তী পর্যায় দেখতে পাচ্ছি, যেখানে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য নতুন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন যা গাজায় উদ্ভূত নয়া বাস্তবতাকে আমলে নেবে ও ফিলিস্তিনি ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুসালেম- তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিন। এই তিন অঞ্চলই একসময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং অন্য গোষ্ঠীগুলোর জোট প্যালেস্টাইন অথরিটির (পিএ) অধীনে ছিল, কিন্তু ২০০৫ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে।

১৯৫৮ সালে পশ্চিম তীরের নাবলুস জেলার তেল শহরে জন্ম নেওয়া শাতায়েহ ব্যবসায় প্রশাসন এবং অর্থনীতে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর উচ্চতর ডিগ্রিও নিয়েছেন তিনি।

পশ্চিম তীরের বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের নির্বাচন কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন শাতায়েহ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সরকারের কর্মসংস্থা ও আবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

২০১৯ সালে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হন শাতায়েহ।