ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে ধরা পরে জনরোষে বিয়ে করলেন যুবক

শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে আটক কপত-কপতীকে কাজী ডেকে বিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। ২৯ জানুৃয়ারি বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্বফরিদপুর গ্রামের (মধ্যপাড়া) এ ঘটনা ঘটে। বর পাপুল মিয়া পূর্ব ফরিদপুর (পাতারেপাড়া) গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন ভাংরী ব্যবসায়ী। কনে শাম্মি আক্তার পূর্ব ফরিদপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের শফি মিয়ার মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, জনতার হাতে আটক দুইজনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক চলছিল। পাপুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। অপরদিকে শাম্মী আক্তারও একটি ধর্ষণ মাদলার বাদী।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পলাশবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। যাহার মামলা নং- ১৫। বুৃধবার রাত ৯ টার দিকে পাপুল মিয়া শাম্মী আক্তারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের দুজনকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। পরে স্থানীয় পবনাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম, ওয়ার্ড সদস্য খায়রুল আলম সরকার, সজিব মন্ডল ও সোহেল শেখের মধ্যস্থতায় এলাকাবাসীর চাপের মুখে বিয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে কাজী শহিদুল ইসলামকে ডেকে ২ লাখ এক টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বিয়ে পড়ানোর আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। তবে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, উক্ত শাম্মি আক্তারের স্বভাব চরিত্র খুব একটা ভালো না। ইতিপূর্বেও সে এ ধরনের কার্যকলাপ ঘটিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে ধরা পরে জনরোষে বিয়ে করলেন যুবক

আপডেট সময় : ০২:০০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে আটক কপত-কপতীকে কাজী ডেকে বিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। ২৯ জানুৃয়ারি বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্বফরিদপুর গ্রামের (মধ্যপাড়া) এ ঘটনা ঘটে। বর পাপুল মিয়া পূর্ব ফরিদপুর (পাতারেপাড়া) গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন ভাংরী ব্যবসায়ী। কনে শাম্মি আক্তার পূর্ব ফরিদপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের শফি মিয়ার মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, জনতার হাতে আটক দুইজনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক চলছিল। পাপুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। অপরদিকে শাম্মী আক্তারও একটি ধর্ষণ মাদলার বাদী।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পলাশবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। যাহার মামলা নং- ১৫। বুৃধবার রাত ৯ টার দিকে পাপুল মিয়া শাম্মী আক্তারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের দুজনকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। পরে স্থানীয় পবনাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম, ওয়ার্ড সদস্য খায়রুল আলম সরকার, সজিব মন্ডল ও সোহেল শেখের মধ্যস্থতায় এলাকাবাসীর চাপের মুখে বিয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে কাজী শহিদুল ইসলামকে ডেকে ২ লাখ এক টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বিয়ে পড়ানোর আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। তবে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, উক্ত শাম্মি আক্তারের স্বভাব চরিত্র খুব একটা ভালো না। ইতিপূর্বেও সে এ ধরনের কার্যকলাপ ঘটিয়েছে।