ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি Logo কুড়িগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী Logo মনোহরগঞ্জে পরিবেশ দূষণে প্রস্তুত হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা Logo বেনাপোলে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবায় মিলল যুবকের মরদেহ Logo রামুতে ৯২০০ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ একজন আটক Logo জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক Logo বগুড়ায় বাপা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক Logo এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: সারজিস Logo কুড়িগ্রামে চোরাকারবারিদের হামলায় চার বিজিবি সদস্য আহত

পাইকগাছায় স্কুল পড়ুয়া নাবালক মারপিটে অজ্ঞান; থানায় অভিযোগ

আব্দুল মজিদ, পাইকগাছা
  • আপডেট সময় : ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পাইকগাছার চাঁদখালীতে স্কুল পড়ুয়া সুজন (১২) নামে এক নাবালেক ছেলেকে ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত সহ মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন পাষণ্ড কামরুল গাজী। এবিষয়ে কামরুল গাজীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলেটির পিতা আরশাদ গাজী।

সরজমিন ঘুরে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়েরডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনসার গাজীর ছেলে মোঃ কামরুল গাজী তার নিজের ছেলের একটি বই ছিড়ে ফেলা বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ইং- ১১/২/২৫ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের আরশাদ গাজীর স্কুল পড়ুয়া নাবালকে ছেলে সুজন গাজীকে একা পেয়ে ইট দিয়ে মাথায়, বুকে, পিঠে, মাঝায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্ত জমাট ফোলা জখম করেছে। একপর্যায়ে কামরুল গাজী ছেলেকে ধরিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে পুকুরের পাকা ঘাটে আছাড় দিয়া ফেলিয়ে দেয়। এসময়ে পুকুর মালিক রবি মিস্তিরির বউ শেফালী বেগম ঘটনাটি বুঝতে পেরে ডাক চিৎকার করলে কামরুল গাজী নাবালকে সুজনকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে পুকুর মালিক রবি মিস্তিরির বউ শেফালী বেগম বলেন, সুজনকে ইট দিয়ে আঘাত করে আমাদের পুকুরে ফেলে দেয়। আমি ডাক চিৎকার না করলে ছেলেটিকে হয়তো মেরেই ফেলতো। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কামরুল গাজী লোকটি ভালো না।

এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত দেবনাথ জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিন যেয়ে সাক্ষীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ওসি স্যারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে নাবালেক সুজনকে কামরুল গাজী আঘাত করার কারনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।পরবর্তীতে ডাক্তারী বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে বর্তমানে নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে সুজন। এ ঘটনায় সুজনের পরিবার থানা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে, কামরুল গাজীর শিশু নির্যাতনের মতো এমন জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাইকগাছায় স্কুল পড়ুয়া নাবালক মারপিটে অজ্ঞান; থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় :

 

পাইকগাছার চাঁদখালীতে স্কুল পড়ুয়া সুজন (১২) নামে এক নাবালেক ছেলেকে ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত সহ মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন পাষণ্ড কামরুল গাজী। এবিষয়ে কামরুল গাজীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলেটির পিতা আরশাদ গাজী।

সরজমিন ঘুরে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গড়েরডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনসার গাজীর ছেলে মোঃ কামরুল গাজী তার নিজের ছেলের একটি বই ছিড়ে ফেলা বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ইং- ১১/২/২৫ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের আরশাদ গাজীর স্কুল পড়ুয়া নাবালকে ছেলে সুজন গাজীকে একা পেয়ে ইট দিয়ে মাথায়, বুকে, পিঠে, মাঝায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্ত জমাট ফোলা জখম করেছে। একপর্যায়ে কামরুল গাজী ছেলেকে ধরিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে পুকুরের পাকা ঘাটে আছাড় দিয়া ফেলিয়ে দেয়। এসময়ে পুকুর মালিক রবি মিস্তিরির বউ শেফালী বেগম ঘটনাটি বুঝতে পেরে ডাক চিৎকার করলে কামরুল গাজী নাবালকে সুজনকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে পুকুর মালিক রবি মিস্তিরির বউ শেফালী বেগম বলেন, সুজনকে ইট দিয়ে আঘাত করে আমাদের পুকুরে ফেলে দেয়। আমি ডাক চিৎকার না করলে ছেলেটিকে হয়তো মেরেই ফেলতো। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কামরুল গাজী লোকটি ভালো না।

এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত দেবনাথ জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিন যেয়ে সাক্ষীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ওসি স্যারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে নাবালেক সুজনকে কামরুল গাজী আঘাত করার কারনে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।পরবর্তীতে ডাক্তারী বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে বর্তমানে নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে সুজন। এ ঘটনায় সুজনের পরিবার থানা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে, কামরুল গাজীর শিশু নির্যাতনের মতো এমন জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।