ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাটকেলঘাটায় রঙ্গিন আলোয় রাতের ড্রাগন বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছে পথচারীরা

এস.এম মজনু, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) 
  • আপডেট সময় : ১২৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদ। এই কপোতাক্ষ নদটি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ীর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার মধ্য দিয়ে মাগুরা ইসলামকাটি হয়ে খুলনা পাইকগাছা নদীর সঙ্গে মিলেছে। অন্যদিকে এই কপোতাক্ষ নদের পাশ ঘেষে পাটকেলঘাটা টু মাগুরা রাস্তা বয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। সন্ধ্যা নামতেই বিদ্যুৎ এর রঙ্গিন আলোয় রাতের ড্রাগন বাগানটি আলোকিত হয়ে ওঠে। তখনই ঐ ড্রাগন বাগানের পাশ ঘেষে রাস্তার চলাচলরত পথচারীরা সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে।

এ দিকে সরজমিন ঘুরে জানা গেছে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বাগমারা গ্রামের মরহুম শিক্ষক ওমর আলী শেখের পুত্র অধ্যাপক এস এম তহিদুজ্জামান শখের বসবর্তী হয়ে এই ড্রাগন চাষ করেছেন। তিনি অন্য লোকের নিকট থেকে প্রায় ৭ বিঘা জমি হারি নিয়ে গত ৭/৮ বছর পূর্বে এই ড্রাগন বাগানের চাষ শুরু করে। তবে এই ড্রাগন চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী এ দিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে পেশাগত ভাবে তিনি খুলনা একটি সরকারি কলেজের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন বর্তমান তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষযে ড্রাগন বাগানে গেলে তার কর্মচারী কামাল হোসেন জানান আমি প্রায় ৭/৮ বছর এখানে কাজ করি। তবে যখন থেকে এই বাগানে বিদ্যুৎ এর রঙ্গিন বাল্ব জালানো হয়েছে তখন থেকে বাগানের সৌন্দর্য দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। তাছাড়া এই রাস্তায় যাতায়াত কারী পথচারীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে এতে ফুল ফল বেশি ধরে গাছে। এ ব্যাপারে ড্রাগন বাগানের স্বত্বাধীকারী অধ্যাপক এস এম তহিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান ড্রাগন বাগান করেছি শখ করে। তবে তিনি আরো জানান আমার বাগান দেখে এলাকায় অনেকে এই ড্রাগন চাষ করছে। তবে আমি তো বাইরে থাকি ঠিকমত সময দিতে পারি না। লোকজন আছে তারা দেখাশুনা করে। তবে এটা খুব লাভজনক একটা ভাল চাষ। তালা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান তালায় অনেকে ড্রাগন চাষ করছে। এটা লাভজনক একটা চাষ। বেকার না থেকে সবাই ড্রাগন সহ বিভিন্ন ফসরের চাষ করে বেকারত্ব মুক্ত দেশ গড়ে স্বাবলম্বী হোক এটায় প্রত্যাশা করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাটকেলঘাটায় রঙ্গিন আলোয় রাতের ড্রাগন বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছে পথচারীরা

আপডেট সময় :

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদ। এই কপোতাক্ষ নদটি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ীর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার মধ্য দিয়ে মাগুরা ইসলামকাটি হয়ে খুলনা পাইকগাছা নদীর সঙ্গে মিলেছে। অন্যদিকে এই কপোতাক্ষ নদের পাশ ঘেষে পাটকেলঘাটা টু মাগুরা রাস্তা বয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। সন্ধ্যা নামতেই বিদ্যুৎ এর রঙ্গিন আলোয় রাতের ড্রাগন বাগানটি আলোকিত হয়ে ওঠে। তখনই ঐ ড্রাগন বাগানের পাশ ঘেষে রাস্তার চলাচলরত পথচারীরা সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে।

এ দিকে সরজমিন ঘুরে জানা গেছে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বাগমারা গ্রামের মরহুম শিক্ষক ওমর আলী শেখের পুত্র অধ্যাপক এস এম তহিদুজ্জামান শখের বসবর্তী হয়ে এই ড্রাগন চাষ করেছেন। তিনি অন্য লোকের নিকট থেকে প্রায় ৭ বিঘা জমি হারি নিয়ে গত ৭/৮ বছর পূর্বে এই ড্রাগন বাগানের চাষ শুরু করে। তবে এই ড্রাগন চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী এ দিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে পেশাগত ভাবে তিনি খুলনা একটি সরকারি কলেজের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন বর্তমান তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষযে ড্রাগন বাগানে গেলে তার কর্মচারী কামাল হোসেন জানান আমি প্রায় ৭/৮ বছর এখানে কাজ করি। তবে যখন থেকে এই বাগানে বিদ্যুৎ এর রঙ্গিন বাল্ব জালানো হয়েছে তখন থেকে বাগানের সৌন্দর্য দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। তাছাড়া এই রাস্তায় যাতায়াত কারী পথচারীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে এতে ফুল ফল বেশি ধরে গাছে। এ ব্যাপারে ড্রাগন বাগানের স্বত্বাধীকারী অধ্যাপক এস এম তহিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান ড্রাগন বাগান করেছি শখ করে। তবে তিনি আরো জানান আমার বাগান দেখে এলাকায় অনেকে এই ড্রাগন চাষ করছে। তবে আমি তো বাইরে থাকি ঠিকমত সময দিতে পারি না। লোকজন আছে তারা দেখাশুনা করে। তবে এটা খুব লাভজনক একটা ভাল চাষ। তালা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান তালায় অনেকে ড্রাগন চাষ করছে। এটা লাভজনক একটা চাষ। বেকার না থেকে সবাই ড্রাগন সহ বিভিন্ন ফসরের চাষ করে বেকারত্ব মুক্ত দেশ গড়ে স্বাবলম্বী হোক এটায় প্রত্যাশা করি।