চান্দিনায় সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যা
পারিবারিক দ্বন্দ্ব না মানসিক অস্থিরতা?
- আপডেট সময় : ২১ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় সংঘটিত হয়েছে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ ছেলে শাহীন (২৫)-এর বিরুদ্ধে। নিহতের নাম হালিমা বেগম (৪৫)। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী এমদাদ মুন্সীকেও আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত হালিমা বেগম ছিলেন এমদাদ মুন্সীর তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে প্রথম স্ত্রী মারা গেলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু সৎ ছেলেদের নির্যাতনের কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যান। তিন মাস আগে এমদাদ মুন্সী তৃতীয়বারের মতো হালিমা বেগমকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। সৎ ছেলে শাহীন সৎ মাকে পছন্দ করতেন না, প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক ও হুমকি দিতেন। স্থানীয়রা জানান, শাহীনের মানসিক অবস্থাও কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল। তিনি ধারণা করতেন, নতুন সৎ মা সম্পত্তির ভাগে তাকে বঞ্চিত করতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বই হত্যার মূল কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহতের পুত্রবধূ শিরিনা আক্তার জানান, “আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ শ্বশুরের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি শাহীন ঘর থেকে বের হচ্ছে। শাশুড়িকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখি।”
নিহতের স্বামী এমদাদ মুন্সী বলেন, “রাত ১১টার দিকে বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি, শাহীন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছেন। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


















