ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশ সদর দপ্তরের এএসআই শরিফুলের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ৩১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার চৈতাজানি (চেঙ্গুরিয়া) গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নানের ছেলে শরিফুল ইসলাম। পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। একসময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্নার গানম্যান ছিলেন।

উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সান্নিধ্য ও পুলিশ সদর দপ্তরে চাকুরীর সুবাদে কোন এক জাদু বলে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যান। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি নিজ গ্রাম, পার্শ্ববর্তী এলাকা, নিজ উপজেলা ও জেলা শহরে তার ক্রয়কৃত জমির মূল্য কয়েক কোটি টাকা ছাড়ায়। শেরপুর জেলা শহরে গৌরীপুর এলাকায় তার একটি পাঁচতলা বাড়ী রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকার ওপরে।

পৌর সভার পূর্ব অনুমতি ছাড়া, পৌরকোড অমান্য করে এবং প্রতিবেশীদের দূর্ভোগে ফেলে পৌরসভার নিষেধ স্বত্বেও তিনি ভবনটি নির্মান করেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম তদন্তের শুরু থেকেই রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি অভিযোগকারী তৎকালীন পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আজিমকে একাধিকবার জানালেও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

পরস্পর যোগসাজসে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলামকে সম্পূর্ণ দায় মুক্তি দিয়ে একটি অসত্য তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এক বছরেও দাখিল করতে পারেন, যা কিনা খুবই রহস্যজনক।

জামালপুর দুদকের উপপরিদর্শক মলয়কুমার শাহা বলেন অতি তাড়াতাড়ি কোর্টের আদেশ কৃত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তিনি জানান, এখনো শরিফুলের অবৈধ সম্পদ জব্দের জন্য আদালতে কোন আবেদন করেননি তারা।

শেরপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে শরিফুল যেকোনো সময় তার অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে সীমান্ত অতিক্রম পালিয়ে যেতে পারেন বলে এলাকাবাসীর মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুলিশ সদর দপ্তরের এএসআই শরিফুলের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!

আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার চৈতাজানি (চেঙ্গুরিয়া) গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নানের ছেলে শরিফুল ইসলাম। পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। একসময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্নার গানম্যান ছিলেন।

উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সান্নিধ্য ও পুলিশ সদর দপ্তরে চাকুরীর সুবাদে কোন এক জাদু বলে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যান। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি নিজ গ্রাম, পার্শ্ববর্তী এলাকা, নিজ উপজেলা ও জেলা শহরে তার ক্রয়কৃত জমির মূল্য কয়েক কোটি টাকা ছাড়ায়। শেরপুর জেলা শহরে গৌরীপুর এলাকায় তার একটি পাঁচতলা বাড়ী রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকার ওপরে।

পৌর সভার পূর্ব অনুমতি ছাড়া, পৌরকোড অমান্য করে এবং প্রতিবেশীদের দূর্ভোগে ফেলে পৌরসভার নিষেধ স্বত্বেও তিনি ভবনটি নির্মান করেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম তদন্তের শুরু থেকেই রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি অভিযোগকারী তৎকালীন পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আজিমকে একাধিকবার জানালেও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

পরস্পর যোগসাজসে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলামকে সম্পূর্ণ দায় মুক্তি দিয়ে একটি অসত্য তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এক বছরেও দাখিল করতে পারেন, যা কিনা খুবই রহস্যজনক।

জামালপুর দুদকের উপপরিদর্শক মলয়কুমার শাহা বলেন অতি তাড়াতাড়ি কোর্টের আদেশ কৃত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তিনি জানান, এখনো শরিফুলের অবৈধ সম্পদ জব্দের জন্য আদালতে কোন আবেদন করেননি তারা।

শেরপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে শরিফুল যেকোনো সময় তার অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে সীমান্ত অতিক্রম পালিয়ে যেতে পারেন বলে এলাকাবাসীর মনে করছেন।