প্রতারণার মামলায় জেল হাজতে আবু বকর সিদ্দিক
- আপডেট সময় : ৩৬ বার পড়া হয়েছে
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় জেল হাজতে তথাকথিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আবু বকর সিদ্দিক।
গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রতারক তার ব্যবসায়িক পরিচয় ব্যবহার করে এলসি খুলে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট নিবাসী মোহাম্মদ মুস্তাকিম বিল্লাহকে ইন্দোনেশিয়া হতে উন্নত জাতের সুপারী আমদানী করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১,১০,৩৮,০৫৮.২৬/- (এক কোটি দশ লক্ষ আটত্রিশ হাজার আটান্ন দশমিক দুই ছয়) টাকা গ্রহণ করেন কিন্তু পরবর্তীতে ১৭/০৮/২০২৫ ইং তারিখে কাঙ্খিত সুপারি খুলনার মংলা পোর্টে আসলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উক্ত আমদানিকৃত সুপারি জনৈক আদনান নামক এক ব্যক্তির নিকট হতে নগদে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে বিক্রয় করে দেন এবং মংলা পোর্ট থেকে সুপারি খালাস করে আদনানকে বুঝিয়ে দেয়। তার এমন আচরণে মুস্তাকিম হতবাক হয়ে পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে সমাধানের চেষ্ঠা করলে মুস্তাকিমকে সুপারি বিক্রিত মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে কোন টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ২৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে মুস্তাকিম, উল্লেখিত সুপারির ইন্দোনেশিয়ান রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী মামুন, মামুনের বাংলাদেশি প্রতিনিধি এবং তাদের আপন ভাইদের নামে ডাকাতির মামলা রুজু করেন।
মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আবু বকর সিদ্দিক সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় নিয়া মুস্তাকিমের ১,৬২,০০,০০০/- (এক কোটি বাষট্টি লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেন এবং মুস্তাকিম ও অন্যান্যদের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্ক থাকা স্বত্ত্বেও মিথ্যা ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া তার দূর-সম্পর্কের আত্মীয় মোঃ আবু মাসুদ এর প্রভাব ব্যবহার করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেন মুস্তাকিমের পিতার মালিকানাধীন ৫ টন দেশীয় সুপারিকে ইন্দোনেশিয়ান সুপারি দেখিয়ে ডাকাতি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করান। অত্র মামলায় আদালত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তার কর্মকাণ্ড “প্রাথমিকভাবে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের ইঙ্গিত বহন করে।” অন্যদিকে প্রতারক কর্তৃক দায়ের করা সাজানো ডাকাতি মামলায় কথিত আসামীগণ জামিনে আছেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবী শেখ মোঃ কামরুল হাসান বলেন, এই ধরনের ঘটনায় ব্যবসায়িক আস্থার উপর আঘাত এবং প্রতারণার এক নির্মম উদাহরণ।
তিনি আরো বলেন, “ঐ প্রতারক পরিকল্পিতভাবে একাধিক পক্ষকে প্রতারিত করেছেন, এবং আদালতের নির্দেশে তার আটকাদেশ বিচার ব্যবস্থার একটি ন্যায়সঙ্গত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ।”

















