আলোর ভুবন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র
প্রতারনার শিকার সুন্দরগঞ্জের মতিয়ার
- আপডেট সময় : ১১ বার পড়া হয়েছে
মাদকের ছোবলে গোটা বাংলাদেশের শহর গ্রাম থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তরুন, যুবক, বৃদ্ধরা যেমন আসক্ত হয়ে পড়ছে তেমনি মস্তিস্ক বিকৃতির রোগীর সংখ্যা বেরেই চলেছে। ভুক্তভোগীরা ছুটছে মাদকাসক্ত রোগীদের চিকিৎসার মাধ্যমে নেশার জগত থেকে ফেরাতে। এ সুযোগে অসৎ স্বার্থান্বেষী একটি মহল মোটা অংকের টাকা নিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করছে।
এমন একজন ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক রংপুর ও সিভিল সার্জন রংপুর এর বরাবর আবেদনপত্র জমা প্রদান করে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা বন্দরে বাসিন্দা হাবিবুর রহমান খান (গণমাধ্যমকর্মী) জানান,আমার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান খান মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর কেরানী পাড়ায় অবস্থিত আলোর ভুবন মাদক নিয়ন্ত্রন ক্লিনিকে ভর্তি করাই। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মো: মোস্তাফিজুর রহমান ০২ মাসের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা নেন। ভর্তির তারিখ ২২ জুন ২০২৫ রেজি নং-১৭৭/২৫। ক্লিনিক থেকে মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে ফোন করে বলেন, আপনার ভাই সুস্থ্য হয়ে গেছে, তাকে নিয়ে যান। ৩১ আগষ্ট ২০২৫ ইং মতিয়ার রহমান খানকে বাসায় নিয়ে আসি। বাসায় আনার পর দেখা যায় সাময়িক সুস্থ্য হয়নি বরং অবনতি ঘটেছে। এমতাবস্থায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সংগে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা টালবাহানা করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত রেজি নং-৩৬৮৬ নম্বর ব্যবহার করে কিন্তু কোন দপ্তর থেকে রেজি নং পেয়েছে তা লেখা হয়নি।
আমাদের প্রতিবেদক মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় প্রধান মাসুদ হোসেনের সংগে ফোনে কথা বলেন তিনি জানান, রংপুর বিভাগে ১৮ টি মাদক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র আছে। কিন্তু আলোর ভুবন আমাদের তালিকাভুক্ত নয়। সিভিল সার্জন রংপুর ডা: শাহীন সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রংপুরে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব মাদক নিরাময় কেন্দ্র গুলো মানুষকে প্রতারণা করছে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দাবী জানান মানবাধিকার কর্মী মনিষ কুমার সরকার রানা তা নাা হলে যুবসমাজের একটি বৃহৎ অংশ ধ্বংসের দিকেলে যাবে। পরিবার হারাবে তাদের প্রজন্মদের। আর অবৈধভাবে করে ওঠা এসব মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো দ্রুত বন্ধের দাবি জানান তিনি।



















