ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবিতে ঢাবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবিতে দেশজুড়ে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। তাতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। একারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের অধিকাংশ বিভাগ খোলা হয়নি। বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

মানিক সরকার নামে সাবেক এক শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি দেশের বাইরে স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য যাবো। জরুরি ভিত্তিতে আমার ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন। কিন্তু রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে এসে দেখি সবকিছু বন্ধ। কোনো কাজই হচ্ছে না।

সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান করেন শিক্ষকরা। তারা প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অন্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও। সকাল ১০টা থেকেই প্রশাসনিক ভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেয় তারা। অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিলও বের করে।

সমাবেশে কর্মচারীরা বলেন, সচিবরা আমাদের ওপর তাদের তৈরি করা অন্যায় নীতি চাপিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের বুকের ওপর দিয়ে গাড়িতে করে অফিসে যায়। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা বন্ধ করে দেবো।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনাদের হয়তো সাময়িক সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু এই আন্দোলন আপনাদের জন্যও। আপনারাও একসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যোগ দেবেন। আপনাদের ভবিষ্যতের সুবিধার জন্য আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

সমাবেশে ঢাবির কর্মচারী সমিতির সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহান, কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবিতে ঢাবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি

আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

 

প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবিতে দেশজুড়ে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। তাতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

প্রত্যয় স্কিম বাতিল দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। একারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের অধিকাংশ বিভাগ খোলা হয়নি। বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

মানিক সরকার নামে সাবেক এক শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি দেশের বাইরে স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য যাবো। জরুরি ভিত্তিতে আমার ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন। কিন্তু রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে এসে দেখি সবকিছু বন্ধ। কোনো কাজই হচ্ছে না।

সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান করেন শিক্ষকরা। তারা প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অন্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও। সকাল ১০টা থেকেই প্রশাসনিক ভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেয় তারা। অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিলও বের করে।

সমাবেশে কর্মচারীরা বলেন, সচিবরা আমাদের ওপর তাদের তৈরি করা অন্যায় নীতি চাপিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের বুকের ওপর দিয়ে গাড়িতে করে অফিসে যায়। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাস্তা বন্ধ করে দেবো।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনাদের হয়তো সাময়িক সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু এই আন্দোলন আপনাদের জন্যও। আপনারাও একসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যোগ দেবেন। আপনাদের ভবিষ্যতের সুবিধার জন্য আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

সমাবেশে ঢাবির কর্মচারী সমিতির সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহজাহান, কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।