ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ফকিরাপুল থেকে জাল জাল স্টাম্প তৈরি চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকার ফকিরাপুলে অভিযান চালিয়ে জালে জাল স্টাম্প তৈরি চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জাল স্টাম্প ও কোর্ট ফি উদ্ধার করে। জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরির প্রায় ৪০ লাখ টাকার সরঞ্জামও জব্দ করে গোয়েন্দরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মোছা. হাজেরা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মো. আলিম শেখ ও মো. মাসুদ রানা। এসময় তাদের কাছ থেকে, ১০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা মূল্যের ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০টি স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। যার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাল স্টাম্প ও কোর্ট ফি তৈরি করে আসছিল চক্রটি। তৈরিকৃত এসব জিনিসপত্র বিভিন্ন আর্থিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও স্ট্যাম্প ভেন্ডারে বিক্রি করতো তারা।

তালেবুর রহমান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাজধানীর ফকিরাপুলের একটি প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালিয়ে চক্রটির সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আলিম শেখের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিজয় স্বরণী, মিরপুর, সাভারের কয়েকটি প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালায় ডিবি। এতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার জাল স্টাম্প ও কোর্ট ফি-সহ চক্রের মূলহোতা মোছা. হাজেরা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম জীবন ও মো. মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিসি তালেবুর রহমান জানান, চক্রটি নানা কৌশলে স্ট্যাম্পগুলো তৈরি করতো। প্রথমে কাগজ সংগ্রহ করে, এরপর সেগুলো বিশেষ ক্যামিলের মাধ্যমে স্টাম্প ও কোর্ট ফির ছাপানোর কাজটি করে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চক্রের মূলহোতা মো. মোজাম্মেল হক। যিনি গ্রেপ্তার হাজেরা বেগমের স্বামী। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রের সঙ্গে কতজন জড়িত, সংখ্যাটি এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এর সঙ্গে অনেকে জড়িত। কেউ বাজারজাতকরণের কাজে, কেউ কুরিয়ার সার্ভিস বা স্বশরীরে ভেন্ডারদের নকল স্ট্যাম্প পৌঁছে দিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কাজে যাদের সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফকিরাপুল থেকে জাল জাল স্টাম্প তৈরি চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

 

ঢাকার ফকিরাপুলে অভিযান চালিয়ে জালে জাল স্টাম্প তৈরি চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জাল স্টাম্প ও কোর্ট ফি উদ্ধার করে। জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরির প্রায় ৪০ লাখ টাকার সরঞ্জামও জব্দ করে গোয়েন্দরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মোছা. হাজেরা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মো. আলিম শেখ ও মো. মাসুদ রানা। এসময় তাদের কাছ থেকে, ১০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা মূল্যের ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০টি স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। যার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাল স্টাম্প ও কোর্ট ফি তৈরি করে আসছিল চক্রটি। তৈরিকৃত এসব জিনিসপত্র বিভিন্ন আর্থিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও স্ট্যাম্প ভেন্ডারে বিক্রি করতো তারা।

তালেবুর রহমান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাজধানীর ফকিরাপুলের একটি প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালিয়ে চক্রটির সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আলিম শেখের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিজয় স্বরণী, মিরপুর, সাভারের কয়েকটি প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালায় ডিবি। এতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার জাল স্টাম্প ও কোর্ট ফি-সহ চক্রের মূলহোতা মোছা. হাজেরা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম জীবন ও মো. মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিসি তালেবুর রহমান জানান, চক্রটি নানা কৌশলে স্ট্যাম্পগুলো তৈরি করতো। প্রথমে কাগজ সংগ্রহ করে, এরপর সেগুলো বিশেষ ক্যামিলের মাধ্যমে স্টাম্প ও কোর্ট ফির ছাপানোর কাজটি করে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চক্রের মূলহোতা মো. মোজাম্মেল হক। যিনি গ্রেপ্তার হাজেরা বেগমের স্বামী। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রের সঙ্গে কতজন জড়িত, সংখ্যাটি এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এর সঙ্গে অনেকে জড়িত। কেউ বাজারজাতকরণের কাজে, কেউ কুরিয়ার সার্ভিস বা স্বশরীরে ভেন্ডারদের নকল স্ট্যাম্প পৌঁছে দিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কাজে যাদের সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।