ফরিদপুরে চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা, দুদকের তদন্ত শুরু
- আপডেট সময় : ২৭ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মানস বসু, প্রধান সহকারী শেখ সাদী ও অফিস সহকারী রুবেলের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী আলহাজ্ব মো. সোবহান মুন্সি অভিযোগে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে মানস বসু তাকে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এজন্য দুইজনের চাকরি নিশ্চিত করতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তিনি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে এবং ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নগদে প্রদান করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে জানানো হয় অধিক অর্থের বিনিময়ে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, তৎকালীন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে প্রধান সহকারী শেখ সাদী দ্বায় শিকার করে তার স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করলেও চেকসমূহ ব্যাংক থেকে ফেরত আসে। এখনও প্রায় ২২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ থাকে যে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত “দৈনিক গণমুক্তি”এবং ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত “দৈনিক ফরিদপুর” এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
সরকারি তদন্ত শুরু
দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১২টায় ফরিদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
তদন্তে ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে নিজস্ব বক্তব্য আলাদা ভাবে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর দাবি
ভুক্তভোগী আলহাজ্ব মো. সোবহান মুন্সি জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রধান সহকারী শেখ সাদীসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবশিষ্ট টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।
পাঠক তাকিয়ে আছে সত্য উদঘাটনে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় শেখ সাদীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্তের আওতায় আনলে সকল সত্য বের হয়ে আসবে।
সংবাদ প্রকাশের পর দুদকের তদন্তের সংবাদ পাওয়া গেছে।
















