ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ফেণীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা!

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ২২৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন ফেনীর তিন লাখেরও বেশি বাসিন্দা

 

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গোমতী, উনকোটি ও ধলাই জেলা বন্যা কবলিত। ধলাই জেলায় বাঁধের তিনটি গেচের মধ্যে খুলে দেওয়া হয়। এর জেরে বাংলাদেশের ফেণী, নোয়াখালীও লক্ষীপুর বণ্যাকবলিত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ফেণীর অবস্থা ভয়াবহ। জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।

ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে ফেণীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ক্ষেত্রের ফসল বলতে কিছুই নেই। পানিবন্দী লাখো মানুষ। ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।

মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে হু হু করে পানি ঢুকে গোটা ফেণী জেলা ডুবিয়ে দিয়েছে। ডুবছে একের পর এক জনপদ। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলার সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলার সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

বন্যার পানিতে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকার বিদ্যুৎ-সংযোগ পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে উদ্ধার কাজও করতে পারছেন না। তারমধ্যে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।


ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখেরও বেশি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবনগুলোর নিচতলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেণীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা!

আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

 

বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন ফেনীর তিন লাখেরও বেশি বাসিন্দা

 

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গোমতী, উনকোটি ও ধলাই জেলা বন্যা কবলিত। ধলাই জেলায় বাঁধের তিনটি গেচের মধ্যে খুলে দেওয়া হয়। এর জেরে বাংলাদেশের ফেণী, নোয়াখালীও লক্ষীপুর বণ্যাকবলিত হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ফেণীর অবস্থা ভয়াবহ। জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।

ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে ফেণীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ক্ষেত্রের ফসল বলতে কিছুই নেই। পানিবন্দী লাখো মানুষ। ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।

মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে হু হু করে পানি ঢুকে গোটা ফেণী জেলা ডুবিয়ে দিয়েছে। ডুবছে একের পর এক জনপদ। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলার সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলার সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

বন্যার পানিতে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকার বিদ্যুৎ-সংযোগ পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে উদ্ধার কাজও করতে পারছেন না। তারমধ্যে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।


ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখেরও বেশি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবনগুলোর নিচতলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।