ফেনীতে এনজিওর পাওনা আদায়ে কাবুলি ওয়ালার ভুমিকায়! অগ্যতা নিরুপায়ী আত্বহননে গৃহবধূ

- আপডেট সময় : ১৪ বার পড়া হয়েছে
ফেনীতে যে সকল বেসরকারী এনজিও ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে কর্মরত তাদের একটির নাম মমতা’ এই স্ংস্হার নির্মমতায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিগত গত ২৭ শে জুলাই ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিজয়সিংহ ফকির বাড়ীর গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগম (৪৫)।
আত্ব হননকারী ফেরদৌস আরা বেগমর পরিবার ও থানায় এজাহারে সূত্রে জানা যায় , বিগত জানুয়ারী – ২০২৫ ইং উক্ত আত্মহননের পথ বেঁছে নেওয়া ফেরদৌস আরা বেগম আগামীর সকল দূঃখ কষ্ট লাঘবের স্বপ্নে বিভোর হয়ে, নিজের পরিবার স্বচ্ছলতা আনতে ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য এই বেসরকারী এনজিও সংস্থ ‘মমতা’ হতে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেন ।
মাসিক ২১ হাজার টাকা করে হারে সন্ভবত ১৮ কিস্তিতে এটাকা পরিশোধ হওয়ার কথা । সেই অনুসারে বিগত ৫ মাস যাবৎ নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে যাচ্ছেন কিন্ত গত ১৩ জুলাই ছিল ৬ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধের দিন কিন্তু কিন্তু সেদিন অভাব অনটনের কারণে নির্ধারিত দিনে তিনি কিস্তি পরিশোধে ব্যার্থ হন । আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সেদিনই ‘মমতা’ এনজিও’র ফেনী সদর শাখার ফিল্ড অফিসার ওমর ফারুক তাদের হুমকি ধমকি ধামকি সহ ঋন আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেন। কারণ তার প্রতিষ্টানের নিয়ম মাফিক ও টি আর ১০০% রিয়েলাইজ করতেই হবে? এখানেও সেই নিয়মের ব্যাপ্তয় ঘটেনি। শুনেনি কোনা অভাব অনটনের দোহাই । যারই ফলশ্রুতিতে লোক লজ্জায় লজ্জিত ফেরদৌস আরা বেগম কোন উপায় অন্তনেই বিধায় আত্ব অভিমানে রাগ দুঃখ অপমানে অপমানিত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে আত্ব হননের পথ বেঁছে নেয় বলে ধরণা করা হচ্ছে ।
ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধের প্রসঙ্গে নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিন জানান, সর্বশেষ বিগত ২৭ জুলাই রবিবার সকাল ১০টার দিকে ওমর ফারুক কিস্তির জন্য আসেন। এসময় তিনি কিস্তি পরিশোধের জন্য রাগারাগি করতে থাকেন । এ সময় তারা কিস্তির ২১ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করতে চাইলে ফিল্ড সহকারী ওমর ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেশী রাগারাগী সহ গালমন্দ করতে থাকেন এবং ওই দিন বিকালের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা সহ দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এই ঘটনা সংঘটিত হবার আনুমানিক আড়াই ঘন্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার সময় রান্না ঘর থেকে ফেরদৌস আরাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ততৎনাত ২৫০ শয্যার ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষী করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আত্বহনন কারী নি-হ-ত ফেরদৌস বেগমের বোন সীমা আক্তার বলেন, ফেরদৌস আরা বেগম শুধু মমতা থেকে ঋণ নিয়েছেন। সময়মত পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে এবং মমতার ফিল্ড সহকারী অপমান সইতে না পেরে নিজেই মানষিকভাবে ভেঙে পড়েন। এবং আত্বহননের পথ বেঁছে নেন ।
মমতার কার্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ফিল্ড অফিসার ওমর ফারুকের সন্ধান মেলেনি। তার বক্তব্যের নেয়ার জন্য মুঠোফোনে একাধুকবার ফোন দেয়া হলেও , তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এনজিও সংস্থা মমতার সহকারি পরিচালক মো. শাহে এমরান বলেন, ফেরদৌস আরা বেগম মমতার একজন নিয়মিত সদস্য। ঋণের কিস্তি নিয়ে ফিল্ড অফিসারের সাথে ভুল বুঝাবুঝির বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি । এমনকি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তার সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
নিয়মিত সদস্যের মৃ-ত্যুর কারণে মমতার গ্রাহক বিধি অনুযায়ী ফেরদৌস বেগমের পরিবার ঋণ মওকুফ সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় ঋণ মওকুফ সুবিধা পাবেন ।
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোহান্মদ শামছুজ্জামান বলেন, ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যার্থ নিহত গুহবধু ফেরদোস আরা বেগম মানষিক চাপে ছিলেন । এরই জেরে আত্মহননের পথ বেঁচে নিয়েছেন বলে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের স্বামী।