ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডামুড্যা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয় Logo `প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে’ Logo খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা, ঘটছে দূর্ঘটনা Logo ঝিনাইদহে তরুন শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পলিথিন নিষিদ্ধ অভিযান Logo হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা Logo অফিস সময়ে রান্না পশ্চিমাঞ্চল রেলের কর্মচারীদরে, কাজে অনীহার অভিযোগ Logo তিতাসে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস স্কিমের আওতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ Logo কাঁঠালিয়া মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় ভাই ভাবীকে পিটিয়ে জখম Logo গোমস্তাপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ

ফেনীর দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলীয় সোনাগাজীতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম

এম এ রহমান দুলাল ভুইয়া, ফেনী
  • আপডেট সময় : ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেনীর দক্ষিণ পশ্চিম অন্চলীয় উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত ১১টি গ্রাম। এতে বহু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
গত শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি হয়ে নদীতীরবর্তী সায়েদপুর, চর ইঞ্জিমান, মাদরাসা পাড়া, আমতলী, ইতালি মার্কেট, রহমতপুর, তেল্লার ঘাট, কাজীর হাটসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবারের জোয়ার ছিল অস্বাভাবিক। এমন উচ্চতার পানি আগে কখনো দেখেনি এ জনপদের মানুষ।
মুলত মুছাপুর রেগুলেটর না থাকায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের সবকিছুই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছে এলাকাবাসীরা। জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এলাকার জনগন বহুবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।’
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রোববারও জেলাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্লাবিত অঞ্চল ও স্লুইসগেট পর্যবেক্ষণ করছি। শনিবার পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.১৪৬ মিটার। অমাবস্যার কারণে এমনিতেই পানির উচ্চতা বেড়ে যায়, তার ওপর রেগুলেটর না থাকায় সাগরের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
মুসাপুর রেগুলেটরের কাজ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে নদী তীরবর্তী মানুষদের।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেনীর দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলীয় সোনাগাজীতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম

আপডেট সময় :

ফেনীর দক্ষিণ পশ্চিম অন্চলীয় উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত ১১টি গ্রাম। এতে বহু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
গত শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি হয়ে নদীতীরবর্তী সায়েদপুর, চর ইঞ্জিমান, মাদরাসা পাড়া, আমতলী, ইতালি মার্কেট, রহমতপুর, তেল্লার ঘাট, কাজীর হাটসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবারের জোয়ার ছিল অস্বাভাবিক। এমন উচ্চতার পানি আগে কখনো দেখেনি এ জনপদের মানুষ।
মুলত মুছাপুর রেগুলেটর না থাকায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের সবকিছুই বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছে এলাকাবাসীরা। জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এলাকার জনগন বহুবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।’
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে রোববারও জেলাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্লাবিত অঞ্চল ও স্লুইসগেট পর্যবেক্ষণ করছি। শনিবার পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.১৪৬ মিটার। অমাবস্যার কারণে এমনিতেই পানির উচ্চতা বেড়ে যায়, তার ওপর রেগুলেটর না থাকায় সাগরের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
মুসাপুর রেগুলেটরের কাজ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে নদী তীরবর্তী মানুষদের।