ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo পুষ্টির সচেতনতা বিষয়ক  প্রশিক্ষন কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

ফেনী কাঁচা সব্জির বাজারে সেঞ্চুরি অতিক্রম

এম এ রহমান দুলাল ভুইয়া, ফেনী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ৬০ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
 রমজানের পুর্বের রুপে ফিরেছে বাজার মুল্য । রমজান চলাকালীন জেলা প্রশাসন , উপজেলা প্রশাসন , ভোক্তা অধিকার সহ সকলের সম্মিলিত অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়লে সিন্ডিকেট ব্যবস্হা ভেঙ্গে পড়ে । সস্হির মুখদর্শন দেখেছিল জনগণ । তাইতো রমজান কেটেছে খুবই ভালোভাবে । কিন্ত রমজান যেতে না যেতেই স্বরুপে ফিরেছে আবার সেই বাজার সিন্ডিকেট ।
আলু, টমেটু ছাড়া বাদবাকি সকল সব্জির মুল্য ৮০/১০০/ ১২০। মাংশের বাজার ঈদের আগে হতেই হাড্ডিসহ ৯০০ টাকা আবার ওজনে কম দেয়ার হিড়িক প্রতি নিয়ত । বেশ কয়েকবার হকার্স মার্কেটে ধরা পড়লেও মিলছে না কোন বিহিত । দুই কেজী মাংশ কিনে কুপিয়ে দিতে বলুন তারপর আবার মাপতে বলুন দেখবেন ওদের পাল্লাতেই ২০০/৩০০ গ্রাম কমে গেছে । এক কে জি মাংশ কিনে খাওয়ার অনুপোযোগী হাড্ডি চর্বি বাদ দিলে ৬০০ গ্রামও টিকে না । ক্রেতা একটু বাড়াবাড়ি করলে তাকে হতে হবে নাজেহাল। তাছাড়া মাংশ বিক্রেতারা ওদের স্কেল বা পাল্লার উপর সবসময় একটি বল বা পাএ রাখবে। একটি বল বা পাএ ক্রেতাকে দেখাবে কিন্ত মাপার সময় অনুরুপ অধিক ওজনের বল বা পাএে মাংশ মেপে দেয় । ওদের দোকানগুলিতে স্হানীয় জোতদার কর্মচারীও রাখে । কেউ প্রতিবাদ করলে সেই জোতদারদের দিয়ে নাজেহাল করা হয় । ক্রেতা যত বাড়াবাড়ি করবে নাজেহালের পরিমান ও সেই সাথে বাড়তে থাকবে ।
ফেনী শহরের  মাছের বাজারের দোকানগুলিতে রয়েছে সেই সুভন্করের ফাঁকি। পানি কিনতে হবে যত দামীই মাছ হোক না কেন । মুর্দা কথা ক্রেতাকে প্রতারিত হতেই হবে । বিভিন্ন সব্জি বাসায় এনে কাটলে বেড়িয়ে আসে পানি । এভাবেই প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে হয় সাধারণ ক্রতাদের । যতই ভ্রাম্যমান আদালত জেলা প্রশাসনের উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চালানো হউক দমানো যাচ্ছে সাধারণ জনগনের ভোগান্তি । সীমিত জনবল দিয়ে প্রশাসন ও হাঁপিয়ে উঠেছে ওদের কর্মকান্ডে । প্রতিটি পন্যই ঈদ পরবর্তী বাজার মুল্য উধ্বমুখি । যেন হরিলুটের দেশ ।
রাস্তায় বেরুলেও ভেনগাড়ীর হকারদের জন্য চলাচল দূরহ হয়ে পড়ে । ওরা রাস্তার মাঝখানে ভেনগাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে হাকারি করবে । কেউ কিছু বললে তার উপর চড়াও হবে কিছু দালাল শ্রেনীর ফড়িয়ে এমনকি দোকানদারেরা তাদের দোকানের সামনের ফুটপাত অবৈধ ভাবে দখল করে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে দেদারছে । প্রশাসন যতই উচ্ছেদ অভিযান চালাক এক ঘন্টা পরে সেই পুর্বের রুপ দেখা যাবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেনী কাঁচা সব্জির বাজারে সেঞ্চুরি অতিক্রম

আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
 রমজানের পুর্বের রুপে ফিরেছে বাজার মুল্য । রমজান চলাকালীন জেলা প্রশাসন , উপজেলা প্রশাসন , ভোক্তা অধিকার সহ সকলের সম্মিলিত অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়লে সিন্ডিকেট ব্যবস্হা ভেঙ্গে পড়ে । সস্হির মুখদর্শন দেখেছিল জনগণ । তাইতো রমজান কেটেছে খুবই ভালোভাবে । কিন্ত রমজান যেতে না যেতেই স্বরুপে ফিরেছে আবার সেই বাজার সিন্ডিকেট ।
আলু, টমেটু ছাড়া বাদবাকি সকল সব্জির মুল্য ৮০/১০০/ ১২০। মাংশের বাজার ঈদের আগে হতেই হাড্ডিসহ ৯০০ টাকা আবার ওজনে কম দেয়ার হিড়িক প্রতি নিয়ত । বেশ কয়েকবার হকার্স মার্কেটে ধরা পড়লেও মিলছে না কোন বিহিত । দুই কেজী মাংশ কিনে কুপিয়ে দিতে বলুন তারপর আবার মাপতে বলুন দেখবেন ওদের পাল্লাতেই ২০০/৩০০ গ্রাম কমে গেছে । এক কে জি মাংশ কিনে খাওয়ার অনুপোযোগী হাড্ডি চর্বি বাদ দিলে ৬০০ গ্রামও টিকে না । ক্রেতা একটু বাড়াবাড়ি করলে তাকে হতে হবে নাজেহাল। তাছাড়া মাংশ বিক্রেতারা ওদের স্কেল বা পাল্লার উপর সবসময় একটি বল বা পাএ রাখবে। একটি বল বা পাএ ক্রেতাকে দেখাবে কিন্ত মাপার সময় অনুরুপ অধিক ওজনের বল বা পাএে মাংশ মেপে দেয় । ওদের দোকানগুলিতে স্হানীয় জোতদার কর্মচারীও রাখে । কেউ প্রতিবাদ করলে সেই জোতদারদের দিয়ে নাজেহাল করা হয় । ক্রেতা যত বাড়াবাড়ি করবে নাজেহালের পরিমান ও সেই সাথে বাড়তে থাকবে ।
ফেনী শহরের  মাছের বাজারের দোকানগুলিতে রয়েছে সেই সুভন্করের ফাঁকি। পানি কিনতে হবে যত দামীই মাছ হোক না কেন । মুর্দা কথা ক্রেতাকে প্রতারিত হতেই হবে । বিভিন্ন সব্জি বাসায় এনে কাটলে বেড়িয়ে আসে পানি । এভাবেই প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে হয় সাধারণ ক্রতাদের । যতই ভ্রাম্যমান আদালত জেলা প্রশাসনের উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চালানো হউক দমানো যাচ্ছে সাধারণ জনগনের ভোগান্তি । সীমিত জনবল দিয়ে প্রশাসন ও হাঁপিয়ে উঠেছে ওদের কর্মকান্ডে । প্রতিটি পন্যই ঈদ পরবর্তী বাজার মুল্য উধ্বমুখি । যেন হরিলুটের দেশ ।
রাস্তায় বেরুলেও ভেনগাড়ীর হকারদের জন্য চলাচল দূরহ হয়ে পড়ে । ওরা রাস্তার মাঝখানে ভেনগাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে হাকারি করবে । কেউ কিছু বললে তার উপর চড়াও হবে কিছু দালাল শ্রেনীর ফড়িয়ে এমনকি দোকানদারেরা তাদের দোকানের সামনের ফুটপাত অবৈধ ভাবে দখল করে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে দেদারছে । প্রশাসন যতই উচ্ছেদ অভিযান চালাক এক ঘন্টা পরে সেই পুর্বের রুপ দেখা যাবে ।