ফের বন্ধ ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর

- আপডেট সময় : ১০:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ভূপাতিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় গত শনিবার রাতে এই হামলার পর জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে, সৃষ্টি হয় ব্যাপক আতঙ্ক। এর আগে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করে, তারা ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সেই ক্ষেপণাস্ত্রটিও মাঝ আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির জেরে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সব ধরনের ওঠানামা। নিরাপত্তার স্বার্থে যাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। ইসরায়েলি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এ হামলায় কোনো হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জেরুজালেম, পশ্চিম তীরের কিছু বসতি এবং ডেড সি-সংলগ্ন এলাকায়। ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চার মিনিট আগেই মোবাইল ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরে যেতে বলা হয়। গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামাসবিরোধী অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে মোট ৩৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্তত ১০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এর অনেকগুলিই মাঝপথেই পতিত হয়েছে বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। ইয়েমেন থেকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হতে পারে এমন আশঙ্কায় সর্বশেষ হামলার পর আবারও ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী তা প্রতিহতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর থেকে সাধারণ জনগণকে দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য নতুন করে জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে। সম্ভাব্য বিমান হামলার আগে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইডিএফ-এর আরবি ভাষার মুখপাত্র কর্নেল আবিচাই আদরায়ি এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের সাধারণ জনগণকে রস ইসা, হুদাইদা ও সালিফ বন্দরের আশপাশ থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত এই তিনটি বন্দর বর্তমানে হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই সতর্কবার্তার পর থেকে হুতিরা বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত আইডিএফ কোনো পাল্টা বিমান হামলা চালায়নি।