ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডামুড্যা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয় Logo `প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে’ Logo খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা, ঘটছে দূর্ঘটনা Logo ঝিনাইদহে তরুন শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পলিথিন নিষিদ্ধ অভিযান Logo হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা Logo অফিস সময়ে রান্না পশ্চিমাঞ্চল রেলের কর্মচারীদরে, কাজে অনীহার অভিযোগ Logo তিতাসে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস স্কিমের আওতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ Logo কাঁঠালিয়া মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় ভাই ভাবীকে পিটিয়ে জখম Logo গোমস্তাপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ

বউদের শাড়ি পোড়ালে বিশ্বাস করবো ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন: প্রধানমন্ত্রী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪২২ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সম্প্রতি ভারতীয় বর্জনের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনা দল-জোট। বিএনপির সিনিয়ু যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী তার গায়ে থাকা কশ্মিরী শাল ছুঁড়ে ফেলে দেন।

বিএনপির তরফে ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি এখন বলবো বিএনপির নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করবো আপনারা সত্যিকারের ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে বলে দিয়েছেন, ভারতের পণ্য ব্যবহার করবেন না। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন। তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি রয়েছে? তারা বউদের কাছ থেকে শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছেন না?

শেখ হাসিনা বরেলন, আমি জানি, বিএনপির বহু মন্ত্রীর বউরা ওখানে গিয়ে শাড়ি কিনে এনে এখানে বেচতো। আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, তাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন। যেদিন ওগুলো এনে অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করবো, আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।

এসময় শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের ২৯টা বছর জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্যই সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বউদের শাড়ি পোড়ালে বিশ্বাস করবো ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় :

 

সম্প্রতি ভারতীয় বর্জনের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনা দল-জোট। বিএনপির সিনিয়ু যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী তার গায়ে থাকা কশ্মিরী শাল ছুঁড়ে ফেলে দেন।

বিএনপির তরফে ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি এখন বলবো বিএনপির নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করবো আপনারা সত্যিকারের ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে বলে দিয়েছেন, ভারতের পণ্য ব্যবহার করবেন না। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন। তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি রয়েছে? তারা বউদের কাছ থেকে শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছেন না?

শেখ হাসিনা বরেলন, আমি জানি, বিএনপির বহু মন্ত্রীর বউরা ওখানে গিয়ে শাড়ি কিনে এনে এখানে বেচতো। আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, তাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন। যেদিন ওগুলো এনে অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করবো, আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।

এসময় শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের ২৯টা বছর জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্যই সম্ভব।