বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০৪:২১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার শাজাহানপুর নুর আলম হত্যা মামলার ৭ নং আসামি নাদিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাতে শহরের বউবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নাদিম খরনা ইউনিয়নের কুন্দদেশমা গ্রামের মুক্তারের ছেলে। তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজমুল হক।
এর আগে, গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খরনা ইউনিয়নের কুন্দদেশমা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নুর আলমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত নুর আলম হাঁসের খামার পরিচালনার পাশাপাশি নিজ এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসা করতেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত নূর আলম পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। একই এলাকার সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে ও ইট-বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৫ আগস্ট রাত ৮ টায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নূর আলমকে। এই ঘটনায় নিহতের বন্ধু মিষ্টারো গুরুতর আহত হয়। নিহত নূর আলমের মা বাদী হয়ে শাহাজাহানপুর থানায় ১২ জন সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নিহত নুর আলমের মা নাছিমা খাতুন বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসায় নাস্তা করে নূর আলম তার বন্ধু মিস্টারের সঙ্গে দেশমা বাজারের চারমাথা স্ট্যান্ডে যান। সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আব্দুল বাসেদ আকন্দের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী নূর আলম ও তার বন্ধুকে মারধর শুরু করে। জান বাঁচাতে নূর আলম নিজের মোটরসাইকেলযোগে শাজাহানপুরের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে শাজাহানপুর এলাকায় ধরে ফেলে।
পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও এসএস পাইপ দিয়ে মাথা থেতলে দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর হামলাকারীরা ঘটনাস্থলেই নূর আলমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নূর আলমকে মুমূর্ষু অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার নাদিম শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা নুর আলম হত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি। তাকে শনিবার রাতে বউবাজার এলাকা থেকে বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।