৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভাসানী ওসমানী স্মৃতি সংসদের নানা আয়োজন
বঙ্গবীর ওসমানীর অসামান্য কৃতিত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল

- আপডেট সময় : ১২:৫৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ভাসানী ওসমানী স্মৃতি সংসদ, বাংলাদেশ। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে বঙ্গবীরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত করেন নেতৃবৃন্দ। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং বঙ্গবীর ওসমানীর কর্ম ও জীবনের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
সাহেবনগরস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী ওসমানী স্মৃতি সংসদ বাংলাদেশের উপদেষ্ঠা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাসানী ওসমানী স্মৃতি সংসদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত মো. আমিনুল ইসলাম বকুল। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মো. সুলতান চৌধুরী, জহির আলী, চাঁন মিয়া, ফারুক মো. ওসমানী প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রণাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার অসামান্য কৃতিত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের বিভিন্ন সংকটে তিনি ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করেছিলেন। এথচ বাংলাদেশের এ মহান নেতাকে বিগত সরকারগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। নতুন প্রজন্মকে এ মহান কর্মবীর সম্পর্কে জানাতে তারা কোন ভূমিকা রাখেনি এবং ইতিহাসের বিকৃতি করেছিল। এখন সময় এসেছে ওসমানীকে তার পর্যাপ্ত সম্মান দেয়া ও মূল্যায়ন করা। তাই দেশের সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবীর ওসমানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানান তিনি। এছাড়াও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণ ওসমানীর নামে করার জন্যও দাবি জানান তিনি।