ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

বড়ইতলা গণহত্যা দিবস পালিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জে সদর উপজেলার বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে বড়ইতলা গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার পুষ্পস্তবক অর্র্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আজিজুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিক হাবীবুর রহমান মুক্তু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, হাবীবুর রহমান, শহীদ পরিবারের সদস্য জোবায়ের আহমদ প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, একাত্তরের এই দিনে আইডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা চিকনিরচর, কালিকাবাড়ি, গোবিন্দপুর প্রভৃতি গ্রামের কয়েক শত গ্রামবাসীকে যশোদল রেলস্টেশন সংলগ্ন বড়ইতলা নামক স্থানে জড়ো করে এবং অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেয়নট দিয়ে খুঁচিয়ে ও ব্রাশ ফায়ারে ৩৬৫ জনকে হত্যা করে। তারা স্বাধীনতাকামী ছিলেন বলেই সকলেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বক্তাগণ এখানে একটি পাঠাগার নির্র্মাণের দাবি জানান। সবশেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শহিদনগর জামে মসজিদের ইমাম আশরাফুল আলম।
স্বাধীনতার পর শহিদদের স্মরণে বড়ইতলা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এবছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি গৃহীত হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বড়ইতলা গণহত্যা দিবস পালিত

আপডেট সময় :

কিশোরগঞ্জে সদর উপজেলার বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে বড়ইতলা গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার পুষ্পস্তবক অর্র্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আজিজুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিক হাবীবুর রহমান মুক্তু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, হাবীবুর রহমান, শহীদ পরিবারের সদস্য জোবায়ের আহমদ প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, একাত্তরের এই দিনে আইডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা চিকনিরচর, কালিকাবাড়ি, গোবিন্দপুর প্রভৃতি গ্রামের কয়েক শত গ্রামবাসীকে যশোদল রেলস্টেশন সংলগ্ন বড়ইতলা নামক স্থানে জড়ো করে এবং অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেয়নট দিয়ে খুঁচিয়ে ও ব্রাশ ফায়ারে ৩৬৫ জনকে হত্যা করে। তারা স্বাধীনতাকামী ছিলেন বলেই সকলেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বক্তাগণ এখানে একটি পাঠাগার নির্র্মাণের দাবি জানান। সবশেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শহিদনগর জামে মসজিদের ইমাম আশরাফুল আলম।
স্বাধীনতার পর শহিদদের স্মরণে বড়ইতলা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এবছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি গৃহীত হয়নি।