বর্জ্য অপসারণে যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে ঢাদসিক : মেয়র
- আপডেট সময় : ০৩:১১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ১৬১ বার পড়া হয়েছে
ঈদুল আযাহা উপলক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফঝলে নূর তাপস
কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে করার হবে
চাঁদরাতে মধ্যরাত হতে আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ঢাদসিক) বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পর দিন যেসব বর্জ্য হবে তাও দিনে দিনে অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান মেয়র।
ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, কোরবানির হাট ও জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদন্ডে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যে কোন সময়ের চাইতে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য তুলে ধরেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এবারে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের
জামাতে অংশ নেবার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে এক সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং অতি বৃষ্টি হলেও ঈদের প্রধান জামাতে কারণ বিঘ্ন ঘটবে না, সেই প্রস্তুতি রয়েছে এবং মুসল্লিগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের জামাত পড়তে পারবেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দূর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পূর্ণভাবে সক্ষম। কারণ, বর্জ্য অপসারণের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ড্রাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি।
আরও ১৫টি ড্রাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির বহর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদন্ডে আগের যে কোন সময়ের চাইতে আমরা এখন অনেক বেশি সক্ষম।
আমরা আশাবাদী, গতবার ঢাকাবাসীকে যে সুবিধা দিতে পেরেছি, যেভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পেরেছি, এবার তার চেয়েও আরো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।
এবার কোরবানির হাট ও কোরবানি উপলক্ষ্যে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা আলাদা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, আমরা আশাবাদী যে, স্বাচ্ছন্দ্যেই পশুর হাটগুলো পরিচালিত হবে এবং সকলেই সেখান থেকে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় করতে পারবেন। কারো কোন বিড়ম্বনা হবে না।
এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনরকম কোন বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবগত করলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিবো। আমরা প্রতিবছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি। সে আলোকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজাই।
এবারে আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, কর্মকর্তা ও যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি। আর জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা জনবল, যান-যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনা করেছি।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবছরের ন্যায় এবারেও ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে করার হবে। পরের দিনও একইভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারিত হবে। আর যেহেতু চাঁদরাত হতে হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায় সেহেতু চাঁদরাতে মধ্যরাত হতে আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব।