ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি – পল ক্রুগম্যান

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, সেটিকে ‘ভুল পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। তিনি বলেছেন, এমন সিদ্ধান্ত মার্কিন ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায়, নিরাপত্তার কোনো সুবিধা এনে দেয় না এবং সামগ্রিকভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। সম্প্রতি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পল ক্রুগম্যান বলেন, বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা এমন একটি পদক্ষেপ, যা আপনার একেবারেই নেওয়া উচিত নয়। এটি মার্কিন ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায় এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য কিছুই করে না। তিনি আরও যুক্তি দেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে ফ্রেন্ডশোরিং বা নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নিয়ারশোরিং গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা এই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনকি, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা অযৌক্তিক বলে মনে করেন এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির সমালোচনা করে ক্রুগম্যান বলেন, বর্তমান প্রশাসন স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে এমন ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করছে, যারা কেবল শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দসই কথা বলেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে বব লাইটহাইজারের কথা উল্লেখ করেন, যিনি ওয়াশিংটনে সংরক্ষণবাদী নীতির একজন প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। ক্রুগম্যানের মতে, লাইটহাইজার একজন জ্ঞানী ও স্বাধীনচেতা ব্যক্তি হলেও তাকে বর্তমান প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, তার (লাইটহাইজার) স্বাধীন মতামত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ আনুগত্য না থাকার কারণেই সম্ভবত তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি হয়তো বলতেন, না, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা উচিত নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি – পল ক্রুগম্যান

আপডেট সময় :

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, সেটিকে ‘ভুল পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। তিনি বলেছেন, এমন সিদ্ধান্ত মার্কিন ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায়, নিরাপত্তার কোনো সুবিধা এনে দেয় না এবং সামগ্রিকভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। সম্প্রতি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পল ক্রুগম্যান বলেন, বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা এমন একটি পদক্ষেপ, যা আপনার একেবারেই নেওয়া উচিত নয়। এটি মার্কিন ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায় এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য কিছুই করে না। তিনি আরও যুক্তি দেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে ফ্রেন্ডশোরিং বা নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নিয়ারশোরিং গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা এই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনকি, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা অযৌক্তিক বলে মনে করেন এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির সমালোচনা করে ক্রুগম্যান বলেন, বর্তমান প্রশাসন স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে এমন ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করছে, যারা কেবল শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দসই কথা বলেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে বব লাইটহাইজারের কথা উল্লেখ করেন, যিনি ওয়াশিংটনে সংরক্ষণবাদী নীতির একজন প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। ক্রুগম্যানের মতে, লাইটহাইজার একজন জ্ঞানী ও স্বাধীনচেতা ব্যক্তি হলেও তাকে বর্তমান প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, তার (লাইটহাইজার) স্বাধীন মতামত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ আনুগত্য না থাকার কারণেই সম্ভবত তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি হয়তো বলতেন, না, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা উচিত নয়।