ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জ সদরে উপকার ভোগীদের মাঝে ১৫০ কেজি করে  ভিজিডি চাউল বিতরণের  উদ্বোধন করেন  নূরে আলম সরকার Logo নালিতাবাড়ীতে হাফিজ ভাইয়ের গোস্তের দোকানে জরিমানা ও মাংস জব্দ Logo সরবরাহ স্বাভাবিক, তবুও অস্থির কাঁচাবাজার Logo মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড Logo ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ – আইএসপিআর Logo মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ : প্রধান উপদেষ্টা Logo মরুতে পরিণত হচ্ছে উত্তরাঞ্চল Logo বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ (বিএএসপি)’র কমিটি পুনর্গঠন Logo মোংলায় কোস্টগার্ড বেইসে নবনির্মিত বোট ওয়ার্কশপ উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  Logo বগুড়ায় উদীচীর ওপর হামলা কিশোরগঞ্জে গানে গানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত

বাংলাদেশ নিয়ে ভারত নাক গলাচ্ছে, খেলাফত মজলিস

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা পরও ঔদ্বত্যপূর্ণ ও যুদ্ধাংদেহী আচরণ প্রদর্শন করছে ভারতীয় উগ্রবাদীগোষ্ঠী।

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজ দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় ভারতকে নজর দেয়া দরকার। তা না হলে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতকে কঠোর জবাবদিহীতার মুখোমুখি হতে হবে। মিডিয়ায় গোয়েবলসীয় কায়দায় অপপ্রচার চালিয়ে সভ্য দুনিয়ায় মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।

ভারত সরকার উগ্রবাদীগোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে ভারত মনে করছে আমাদেরকে দুর্বল করে দিতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।

বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যথাযথ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বসবাস করছে। আবহমানকাল ধরে এই সম্প্রীতি এখানে বিরাজমান রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও সম্প্রতি ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ বিরোধী এসব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজ দেশের মুসলিমসহ সংখ্যালঘু ও দলিতশ্রেণীর মানুষদের নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা ভারত সরকারকে আবারো আহ্বান জানায়। বারবার দাঙ্গা কবলিত ভারতে প্রতিনিয়ত বহু সংখ্যালঘু মুসলিমকে হত্যা, নির্যাতন করা হচ্ছে। মসজিদসহ ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

গত কয়েকদিন আগেও উত্তর প্রদেশের প্রায় দু’শ বছর পুরনো একটি মসজিদে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মুসলিমদেরকে নির্যাতন করে হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের এসব অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন প্রমুখ।

সভায় ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশন সফলে আমরা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি। সকাল সাড়ে ৯টায় অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের দোয়া ও কাঙ্ক্ষিত তৎপরতা প্রত্যাশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ নিয়ে ভারত নাক গলাচ্ছে, খেলাফত মজলিস

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা পরও ঔদ্বত্যপূর্ণ ও যুদ্ধাংদেহী আচরণ প্রদর্শন করছে ভারতীয় উগ্রবাদীগোষ্ঠী।

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজ দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় ভারতকে নজর দেয়া দরকার। তা না হলে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতকে কঠোর জবাবদিহীতার মুখোমুখি হতে হবে। মিডিয়ায় গোয়েবলসীয় কায়দায় অপপ্রচার চালিয়ে সভ্য দুনিয়ায় মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।

ভারত সরকার উগ্রবাদীগোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে ভারত মনে করছে আমাদেরকে দুর্বল করে দিতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।

বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যথাযথ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বসবাস করছে। আবহমানকাল ধরে এই সম্প্রীতি এখানে বিরাজমান রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও সম্প্রতি ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ বিরোধী এসব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজ দেশের মুসলিমসহ সংখ্যালঘু ও দলিতশ্রেণীর মানুষদের নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা ভারত সরকারকে আবারো আহ্বান জানায়। বারবার দাঙ্গা কবলিত ভারতে প্রতিনিয়ত বহু সংখ্যালঘু মুসলিমকে হত্যা, নির্যাতন করা হচ্ছে। মসজিদসহ ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

গত কয়েকদিন আগেও উত্তর প্রদেশের প্রায় দু’শ বছর পুরনো একটি মসজিদে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মুসলিমদেরকে নির্যাতন করে হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের এসব অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন প্রমুখ।

সভায় ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশন সফলে আমরা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি। সকাল সাড়ে ৯টায় অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের দোয়া ও কাঙ্ক্ষিত তৎপরতা প্রত্যাশা করছি।