ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শৈলকুপায় মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo ইসলামপুরে জেসমিন প্রকল্পের উদ্যোগে পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত  Logo কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক মুন্নার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছে সেকেন্ড ইন কমান্ড ফরিদ  Logo পানি উন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালীতায়, ভাঙনরোধে ৬ কোটি টাকার প্রকল্প জলে যাবে  Logo প্রচণ্ড গরমে কেশবপুরে  তালশাঁসের কদর বেড়েছে কেশবপুরে তালের শাঁস বিক্রির ধুম Logo বাগেরহাটে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের গ্রাহকদের টাকা ফেরত ও মালিকের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন Logo হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর ৭০৬তম ওরস মাহফিল রোববার থেকে শুরু, নিরাপত্তার চাদর Logo পত্নীতলায় বিজিবি’র অভিযানে ৬০৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার  Logo পলাশবাড়ী পৌরসভায় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা Logo আমার বাড়ি আমার ঘরের এমডির বিরুদ্ধে ভূমিদখল-প্রতারণা-অভিযোগ

বাগেরহাটে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের গ্রাহকদের টাকা ফেরত ও মালিকের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

নকীব মিজানুর রহমান, বাগেরহাট প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাট: বাগেরহাটে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের সুযোগ প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক, । রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টায় খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহস্রাধিক গ্রাহক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

পরে দুপুর ১২টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কোম্পানিটির মাঠ কর্মকর্তা মাওলানা বেলায়েত হোসেন বলেন, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লি. দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এবং তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তারা কোম্পানিকে ধ্বংস করে দেওয়া ও মালিককে বিপদের ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বিভিন্ন সময় নানা হুমকি-ধামকী দিয়ে নগদ ২০ কোটি টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। পরে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান তালুকদার ও চেয়ারম্যান মাওলানা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান তালুকদার ৭ বছরের মত কারাগারে ছিলেন। চেয়ারম্যান মাওলানা আনিসুর রহমানও দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে নানা রোগ ও অর্থকষ্টে ভুগে মারাযায়। এসব কারণে কোম্পানির সকল কাযক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।২২ হাজারের বেশি গ্রাহক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন, ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও তাদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছেন না কোম্পানির মালিক। কারণ কোম্পানির সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং জব্দ আদেশ প্রত্যাহার করা হলে, গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থে মামলা ও জব্দ আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনকারীরা। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, শেখ তন্ময় ও তাদের দোসরদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে, কোম্পানির পরিচালক (উন্নয়ন) মাও. রুহুল আমিন, গ্রাহক মুফতি ওয়াক্কাস আলী, মাঠ কর্মকর্তা মোঃ হায়দার আলী, আবু সাইদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গেল ৫ মে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান তালুকদার বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, তাঁর ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেন। ওই মামলায় শেখ শহীদুল ইসলাম নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের গ্রাহকদের টাকা ফেরত ও মালিকের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

বাগেরহাট: বাগেরহাটে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের সুযোগ প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক, । রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টায় খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহস্রাধিক গ্রাহক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

পরে দুপুর ১২টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কোম্পানিটির মাঠ কর্মকর্তা মাওলানা বেলায়েত হোসেন বলেন, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লি. দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এবং তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তারা কোম্পানিকে ধ্বংস করে দেওয়া ও মালিককে বিপদের ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বিভিন্ন সময় নানা হুমকি-ধামকী দিয়ে নগদ ২০ কোটি টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। পরে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান তালুকদার ও চেয়ারম্যান মাওলানা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান তালুকদার ৭ বছরের মত কারাগারে ছিলেন। চেয়ারম্যান মাওলানা আনিসুর রহমানও দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে নানা রোগ ও অর্থকষ্টে ভুগে মারাযায়। এসব কারণে কোম্পানির সকল কাযক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।২২ হাজারের বেশি গ্রাহক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন, ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও তাদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছেন না কোম্পানির মালিক। কারণ কোম্পানির সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং জব্দ আদেশ প্রত্যাহার করা হলে, গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থে মামলা ও জব্দ আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনকারীরা। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, শেখ তন্ময় ও তাদের দোসরদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে, কোম্পানির পরিচালক (উন্নয়ন) মাও. রুহুল আমিন, গ্রাহক মুফতি ওয়াক্কাস আলী, মাঠ কর্মকর্তা মোঃ হায়দার আলী, আবু সাইদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গেল ৫ মে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান তালুকদার বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, তাঁর ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেন। ওই মামলায় শেখ শহীদুল ইসলাম নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।