ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশী ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাজারে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও দাম চড়া

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাজারে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। প্রতিটি হাটবাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি লক্ষ্য করা যায়। এরপরও পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হচ্ছে না। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টিসিবির তথ্যে বলা হয়েছে, গত বছর এই সময়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। এবার একই সময়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি।

নয়াপল্টন এলাকায় ভ্যানে পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আদা বিক্রি করেন ইসমাইল হোসেন। তার দোকানে মাঝারি মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। রসুন ১৫০ টাকা, আদা ২০০, আলু ৩৫ টাকা। পাশের একটি মোদি দোকানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী শঙ্কর চন্দ্র ঘোষ জানান, বাংলাদেশে নতুন পেঁয়াজ ওঠতে শুরু করেছে। আগামী ৬ মাস পেঁয়াজ আমদানি না হলেও সমস্যা হবে না। রমজান উপলক্ষ্যে সরকারের সুবিধা নিয়ে পেঁয়াজ, চিনি, ছোলা ও খেজুর আমদানি করা হয়েছে।

যথেষ্ট পণ্যমজুত থাকা সত্ত্বেও পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ছোলা ও খেজুরের দাম উর্ধমুখী কেন জানাতে চাইলে, শঙ্কর চন্দ্র ঘোষ বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থা বলেই এমনটি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং এবং সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব হলে পণ্যবাজার স্বাভাবিক থাকবে।

এদিকে পণ্য বাজার স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকায় ডিসি সম্মেলনে যুক্ত হয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহে জেলা প্রশাসকদের বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাজারে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও দাম চড়া

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

 

বাজারে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। প্রতিটি হাটবাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি লক্ষ্য করা যায়। এরপরও পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হচ্ছে না। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টিসিবির তথ্যে বলা হয়েছে, গত বছর এই সময়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। এবার একই সময়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি।

নয়াপল্টন এলাকায় ভ্যানে পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আদা বিক্রি করেন ইসমাইল হোসেন। তার দোকানে মাঝারি মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। রসুন ১৫০ টাকা, আদা ২০০, আলু ৩৫ টাকা। পাশের একটি মোদি দোকানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী শঙ্কর চন্দ্র ঘোষ জানান, বাংলাদেশে নতুন পেঁয়াজ ওঠতে শুরু করেছে। আগামী ৬ মাস পেঁয়াজ আমদানি না হলেও সমস্যা হবে না। রমজান উপলক্ষ্যে সরকারের সুবিধা নিয়ে পেঁয়াজ, চিনি, ছোলা ও খেজুর আমদানি করা হয়েছে।

যথেষ্ট পণ্যমজুত থাকা সত্ত্বেও পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ছোলা ও খেজুরের দাম উর্ধমুখী কেন জানাতে চাইলে, শঙ্কর চন্দ্র ঘোষ বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থা বলেই এমনটি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং এবং সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব হলে পণ্যবাজার স্বাভাবিক থাকবে।

এদিকে পণ্য বাজার স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকায় ডিসি সম্মেলনে যুক্ত হয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহে জেলা প্রশাসকদের বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।