বানের জলে ভাসছে খাগড়াছড়ি

- আপডেট সময় : ১০:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৩৮ বার পড়া হয়েছে
২০০৭ সালের পর ভয়াবহ বন্যা ভাসছে খাগড়াছড়িবাসী। সদর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখন জলমগ্ন। পৌরসভার ঘরে ঘরে বানের বন্দি হাজারো মানুষ। শুক্রবার থেকে পানি হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ।
ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি। পৌরসভা ছাড়াও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে থৈ থৈ পানি। চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চেঙ্গী নদীর দুই কুল উপচে পৌর এলাকার মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, খবংপুড়য়া, রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল, বটতলীসহ কয়েকটি এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি।
শহরের পৌর বাস টার্মিনাল, নিচের বাজার ও আশপাশ এলাকা জলমগ্ন। ডুবে গেছে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক। তাতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সদর উপজেলার কমলছড়ি ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ বাড়িঘরে পানি ওঠেছে। রাস্তায় কোমর ও গলা সমান পানি থাকায় গ্রামবাসী গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বিগত সময়গুলোতে টানা কয়েকদিনের বর্ষণে বন্যা হলেও এবার এক রাতের মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ এলাকা। সকালে নিচু এলাকা প্লাবিত হলেও দুপুরের পর থেকে অধিকাংশ এলাকা দ্রুত পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যায় পৌর এলাকার ৬-৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত । তাদের জন্য ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পৌরসভার তরফে আশ্রিত মানুষের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত ও পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।