ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবানে পাহাড় ধসে থানচির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪ ২৮৩ বার পড়া হয়েছে

মাটি অপসারণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী ছবি: সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

টানা বর্ষণে বান্দরবানের পাহাড় ধসে থানচি সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের ওপর ধসে পড়ে। এতে বান্দরবানের সঙ্গে থানচির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণে কাজে অংশ নিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে উভয় দিক থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন আটকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও সাধারণ মনুষ।

এ বিষয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাটি অপসারণের কাজ করছি। মাটি অপসারণ করার পরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

অপরদিকে লামায় মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এসব এলাকার প্রায় একশ পরিবার তিন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ পরিবার পৌর এলাকার তিন আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠে এসেছে।

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে পাহাড় ধসে থানচির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

 

টানা বর্ষণে বান্দরবানের পাহাড় ধসে থানচি সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের ওপর ধসে পড়ে। এতে বান্দরবানের সঙ্গে থানচির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণে কাজে অংশ নিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে উভয় দিক থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন আটকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও সাধারণ মনুষ।

এ বিষয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাটি অপসারণের কাজ করছি। মাটি অপসারণ করার পরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

অপরদিকে লামায় মাতামুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এসব এলাকার প্রায় একশ পরিবার তিন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ পরিবার পৌর এলাকার তিন আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠে এসেছে।

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।