বিএনপি ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা শাখার আহ্বায়ক উত্তম রায়। শনিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপির সুনাম খারাপ করতে এমন কুৎসা রটাচ্ছেন দিনাজপুর সদরের গুঞ্জাবাড়ী এলাকার চয়ন সরকার। চয়ন সরকার বিগত সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করতেন এবং আওয়ামীলীগের মিছিল-মিটিংয়েও উপস্থিত থাকতেন। এজন্য তিনি বিএনপির সুনাম খারাপ করতে কুৎসা রটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গুঞ্জাবাড়ী এলাকায় রাজ দেবোত্তর এষ্টেটের অধিনস্থ রঘুনাথ জিউ মন্দিরে বাসন্তী পূজার আয়োজন করেন চয়ন সরকারসহ কিছু লোকজন। এটি রাজ দেবোত্তর এষ্টেটের সম্পত্তি হওয়ায় যে কোন ধরনের আয়োজন করতে হলে অবশ্যই রাজ দেবোত্তর এষ্টেটের অনুমতির প্রয়োজন। এখানে বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হলে রাজ দেবোত্তর এষ্টেটের অনুমতি ছিল না। সেখানে প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে উপস্থিত দূর্গামন্দির কমিটির সাথে যারা বাসন্তী পূজা করছেন তাদের মতবিরোধ বা মনোমানিল্যও রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন ও দেবোত্তর এষ্টেট থেকে অনুমতি না থাকায় গত ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে প্রশাসন বাসন্তী পূজার আয়োজনের জন্য তৈরী হওয়া প্যান্ডেল খুলে দেয়। এ সময় সেখানে কিছু সংখ্যক মানুষকে নিয়ে উত্তজনার সৃষ্টি করেন চয়ন সরকার। এ সময় এজেন্ট রনজিৎ সিং, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর-এ-আলমসহ ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করে।
ওই দিনের ঘটনাটি কিংবা তার আগের ঘটনাগুলো আমি জানি। আমিও চয়ন সরকারকে এলাকার সকল হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাসন্তী পূজা করার জন্য বলি এবং বাসন্তী পূজার আয়োজন ঐখানে স্থানীয় দূর্গা মন্দিরে করতে বলি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করে চয়ন সরকারসহ কিছু লোকজন। সেখানে পূজার প্যান্ডেল খুলে দেয়ার সাথে আমাকে জড়িত বলে বক্তব্য দেয়া হয়। আমার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আমি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এবং তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বলেছি যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে রাত ১২ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত থ্রেট দেয়ার কথা। বিএনপি হিন্দুদের নির্যাতনের অনুমতি দিয়েছে এমন বিভ্রান্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এসব ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয়েছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করতে এমন কুৎসা রটাচ্ছেন এবং সাম্প্রদায়িক একটা দাঁঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা করছেন উল্লেখ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।