বিএমইউর ডেন্টাল অনুষদের নতুন ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

- আপডেট সময় : ১৩৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ডেন্টাল অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানুয়ারি ও জুলাই ২০২৫ সেশনের পরীক্ষা এবং চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার লক্ষ্যে ডা. সাখাওয়াত হোসেনকে তার পূর্ববর্তী দায়িত্বের পাশাপাশি ডেন্টাল অনুষদের ডিনের দায়িত্ব অস্থায়ীভাবে প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থের রয়েছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও বহুমুখী অবদান। তিনি ২০০০ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বিডিএস এবং ২০০৭ সালে বিএমইউ থেকেই ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
শুধু একাডেমিক পর্যায়ে নয়, দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ওরাল সার্জারির ওপর বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন তিনি। তার ৩০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে স্বীকৃত জার্নালে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার অবদানের সাক্ষ্য বহন করে।
তবে চিকিৎসাশিক্ষার বাইরেও ডা. সায়ন্থ বহুমাত্রিক একজন মানুষ। একজন কবি, লেখক, টেলিভিশন উপস্থাপক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট হিসেবে তিনি সমানভাবে পরিচিত। তার লেখা পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ, একটি উপন্যাস এবং রাজনীতি ও মানবাধিকার বিষয়ে লেখা বেশ কয়েকটি বই দেশের খ্যাতিমান প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
রাজনৈতিকভাবে তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদের পতনের পর তিনি মুক্তি পান।
ডা. সায়ন্থ ১৯৭৬ সালে শরীয়তপুর জেলার পালং থানায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুলে। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, বাংলাদেশ ওরাল ক্যান্সার সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুয়া) ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আজীবন সদস্য।