ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ই-অরেঞ্জের সিইও আমান উল্লাহ দুই দিনের রিমান্ডে Logo নবীনগরে কৃষক দলের ওয়ার্ড সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo ডামুড্যায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সড়কের খানাখন্দ মেরামত Logo ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণের দাবিতে পাথরঘাটায় সাইকেল র‍্যালি Logo বৈষম্য- অনিয়ম দূর করে দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ সরকারের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা Logo সরিষাবাড়ীতে নদীর গর্ভে যাচ্ছে মন্দির ও মহাশ্মশান রক্ষার্থে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  Logo নগরকান্দায় উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে দখল মুক্ত হলো কুমার নদ Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস ও চেক বিতরণ Logo দাউদকান্দিতে ড. মোশারফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo অনিয়মই যেখানে নিয়ম

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন পর্যন্ত চালুর জোর দাবি

বোরহান উদ্দিন, জামালপুর
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ শনিবার অনেক দিন ধরে লক্ষ করা যায়,দেওয়ানগঞ্জ – ঢাকা রেলপথ এলাকার বাশিন্দারা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার পর্যন্ত চালুর দাবি দাওয়া জানিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে এলাকাবাসী।
এই ট্রেন টি দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চালু করা হলে একদিকে ইনকাম বাড়বে রেলের,অন্য দিকে জন দুুর্ভোগ কমবে মানুষের। বাড়বে সুযোগ সুবিধা। আশির দশকের শেষের দিকে আমি বিয়ে করেছি চট্টগ্রামে। সেই সুবাদে তখন থেকেই যাতায়াত আমার সেখানে।কিভাবে সেখানে গিয়েছি, এসেছি, কতটা কষ্ট করেছি তা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবেনা।
আন্তঃ নগর ট্রেন তখন ও চালু হয়নি।বাসা থেকে বের হয়েছি বিকেলে। ট্রেনে সিট পেতে।সিট না পেলে মহা বিপদ। বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে রাত ১২ টায়। মুরগির খাচায় মুরগী ভরার মত অবস্থা। এরপর দেওয়ানগঞ্জ হয়ে জামালপুর , ময়মনসিংহ । সেখানে লাইন বদল করতে লং টাইম।ফের যাত্রা চিটাগাং লাইনে। পথে পথে হাজারো সমস্যা।বগিতে নেই বাতি,নেই পানি, নেই অনেক কিছু।
আমার আব্বা রেলে চাকুরী করার সুবাদে পাশ পেতাম। তাতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম যেতে এবং আসতে কোন টিকিট লাগতো না। ভালো বগি ভাগ্যে জুটতো কখনো। যাত্রীরা নিজেরা আলোর ব্যবস্থা করতেন,সাথে রাখতেন পানি।যারা সিট পেতেন না,তারা পায়ের কাছে বা বাথরুম ঘেঁষে বসে থাকতেন। সচেতন যাত্রীরা খাবার, পানি ও আলোর ব্যবস্থা নিজেরাই করতেন।পরদিন সকালে গিয়ে পৌছতাম চট্টগ্রামে।
যাত্রীদের অবস্থা কাহিল।যেন হাজত খেটে বের হলো। পায়ে জুতা ঢুকতোনা।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে পায়ে রস নেমে যেতো।সাথে রাখা স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে শ্বশুরের বাসায় যেতাম। গোছল শেষে খেয়ে ঘুম।ঘুম ভাঙ্গতো সন্ধ্যায়। এখন ও এ রেলপথে চলাচলে সমস্যা রয়ে গেছে।আর তাইতো যাত্রী সাধারন সহ এলাকাবাসী বিজয় এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ অবধি চলাচলের দাবি অব্যাহত রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন পর্যন্ত চালুর জোর দাবি

আপডেট সময় : ০৩:০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

আজ শনিবার অনেক দিন ধরে লক্ষ করা যায়,দেওয়ানগঞ্জ – ঢাকা রেলপথ এলাকার বাশিন্দারা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার পর্যন্ত চালুর দাবি দাওয়া জানিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে এলাকাবাসী।
এই ট্রেন টি দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চালু করা হলে একদিকে ইনকাম বাড়বে রেলের,অন্য দিকে জন দুুর্ভোগ কমবে মানুষের। বাড়বে সুযোগ সুবিধা। আশির দশকের শেষের দিকে আমি বিয়ে করেছি চট্টগ্রামে। সেই সুবাদে তখন থেকেই যাতায়াত আমার সেখানে।কিভাবে সেখানে গিয়েছি, এসেছি, কতটা কষ্ট করেছি তা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবেনা।
আন্তঃ নগর ট্রেন তখন ও চালু হয়নি।বাসা থেকে বের হয়েছি বিকেলে। ট্রেনে সিট পেতে।সিট না পেলে মহা বিপদ। বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে রাত ১২ টায়। মুরগির খাচায় মুরগী ভরার মত অবস্থা। এরপর দেওয়ানগঞ্জ হয়ে জামালপুর , ময়মনসিংহ । সেখানে লাইন বদল করতে লং টাইম।ফের যাত্রা চিটাগাং লাইনে। পথে পথে হাজারো সমস্যা।বগিতে নেই বাতি,নেই পানি, নেই অনেক কিছু।
আমার আব্বা রেলে চাকুরী করার সুবাদে পাশ পেতাম। তাতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম যেতে এবং আসতে কোন টিকিট লাগতো না। ভালো বগি ভাগ্যে জুটতো কখনো। যাত্রীরা নিজেরা আলোর ব্যবস্থা করতেন,সাথে রাখতেন পানি।যারা সিট পেতেন না,তারা পায়ের কাছে বা বাথরুম ঘেঁষে বসে থাকতেন। সচেতন যাত্রীরা খাবার, পানি ও আলোর ব্যবস্থা নিজেরাই করতেন।পরদিন সকালে গিয়ে পৌছতাম চট্টগ্রামে।
যাত্রীদের অবস্থা কাহিল।যেন হাজত খেটে বের হলো। পায়ে জুতা ঢুকতোনা।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে পায়ে রস নেমে যেতো।সাথে রাখা স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে শ্বশুরের বাসায় যেতাম। গোছল শেষে খেয়ে ঘুম।ঘুম ভাঙ্গতো সন্ধ্যায়। এখন ও এ রেলপথে চলাচলে সমস্যা রয়ে গেছে।আর তাইতো যাত্রী সাধারন সহ এলাকাবাসী বিজয় এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ অবধি চলাচলের দাবি অব্যাহত রেখেছে।