ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাজারো মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো Logo সাংবাদিক আলতাফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল Logo চত্রা নদীতে গোসল করতে নেমে প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু Logo গোলাপগঞ্জে ঢাকাদক্ষিণ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু গ্রেপ্তার Logo শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য পদে প্রেষণে কর্মকর্তা নিয়োগের প্রতিবাদে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে কর্মচারীদের বিক্ষোভ Logo রামগতিতে বেড়েছে চুরি-ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি Logo মানিকছড়িতে মাছের মিশ্রচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলাপার নিহত Logo শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ল ১৫ শতাংশ, পাবেন দুই ধাপে Logo ফেনীর ঐতিহাসিক ঘাটলা এখন জেলা জুড়ে

বিজ্ঞাপনের আড়ালে প্রতারণা

মহিউদ্দিন তুষার
  • আপডেট সময় : ৭৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাকরির আশায় মানুষ আজ দিশেহারা। দেশের সর্বত্র বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী এখন ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব ভিডিও, এমনকি অফিসভিত্তিক দালাল চক্রের প্রতারণার জালে আটকা পড়ছে প্রতিনিয়ত। চাকরি দেবো-যোগাযোগ করুন এমন প্রলোভনমূলক বিজ্ঞাপন এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে পত্রিকার পাতায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিজ্ঞাপনগুলোর পেছনে রয়েছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ একাধিক ভুয়া চাকরি প্রতিষ্ঠান সনাক্ত করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা, ঘরে বসে কাজ করুন, দ্রুত নিয়োগ চলছে ইত্যাদি শিরোনামে বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ডেকে নেয়। সাক্ষাৎকারের নামে নেয় জামানত, রেজিস্ট্রেশন ফি বা প্রশিক্ষণ ফি-এরপর আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায় না।
র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, অনেক প্রতিষ্ঠান কৌশলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। কেউ কেউ আবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ নেয়ার পর প্রার্থীর নম্বর ব্লক করে দেয়।
চাকরি প্রতারণার নতুন একটি ধারা হলো বিমা ও ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর নামে ফিল্ড অফিসার বা কাস্টমার এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগের প্রলোভন। প্রার্থীদের প্রথমে বলা হয়, আপনার চাকরি পাকা করতে হলে কিছু পলিসি বিক্রি করতে হবে। পরে দেখা যায়, চাকরির নামে তারা বাধ্য হচ্ছে নিজের আত্মীয়স্বজনের নাম ব্যবহার করে বিমা পলিসি নিতে। চাকরি না পেয়ে অনেকেই এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রাজধানীর গুলিস্তানের এক ভুক্তভোগী সুমন আহমেদ বলেন, চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে একটা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে গিয়েছিলাম। তারা বলল, ১০টা পলিসি বিক্রি করলে চাকরি পাকা। পরে বুঝলাম, এটা আসলে বিক্রয় কমিশন নির্ভর একটা ধোঁকা। এখন ফোন ধরছেও না তারা।
চাকরির নামে প্রতারণার নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে ঘন্টা-মাফিক চাকরি বা পার্টটাইম ইনকাম সেক্টরে। এসব চক্র তরুণ-তরুণীদের লক্ষ্য করে বলে, মোবাইলে কিছু কাজ করলেই ঘণ্টায় ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম। এর পেছনে মূলত থাকে তথাকথিত ডাটা-এন্ট্রি, সার্ভে, বা ক্লিকিং ওয়েবসাইট-যেগুলো বিদেশি মুদ্রা আয়ের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছু চক্র আবার মিথ্যা অনলাইন কোম্পানির নামে আগাম রেজিস্ট্রেশন ফি নেয় এবং পরে ওয়েবসাইট গায়েব হয়ে যায়।
বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারেও ‘শিক্ষক’ বা ‘অফিস সহকারী’ পদে চাকরির নামে প্রতারণা হচ্ছে। চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে প্রথমে কিছু অর্থ জমা নিতে বলা হয়, পরে ওই পদই বাতিল ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় এসব প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমোদন ছাড়াই ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়, ফলে ভুক্তভোগীরা আইনি সুরক্ষাও পান না।
রাজশাহীর বেকার যুবক রাকিব হোসেন বলেন, দেড় হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে। পরদিন অফিসে গেলে দেখি তালা ঝুলছে। ফোন বন্ধ। একই অভিজ্ঞতা পটুয়াখালীর মেহজাবিনের, যিনি ঘরে বসে কাজের নামে ২,০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন-ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের অজুহাতে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সাইবার ইউনিট জানিয়েছে, চাকরি প্রতারণা এখন দেশের অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল সাইবার অপরাধ। গেল বছর ২০২৪ সালে এমন প্রতারণার অভিযোগ এসেছিল প্রায় ২,৭০০টি, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। এখনও সেই ধারাবাহিকতা রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণা দমন আইনে এসব অপরাধের শাস্তি থাকলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী মামলা করতে ভয় পান বা প্রমাণ জোগাড় করতে পারেন না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতারক চক্রগুলো খুব সংগঠিত। তারা ভুয়া নাম-ঠিকানায় অফিস ভাড়া নেয়, অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়ে দ্রুত টাকা তুলে গা ঢাকা দেয়। আমরা এখন তাদের ট্রেস করার জন্য ডিজিটাল ফরেনসিক টিম ব্যবহার করছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতারকরা এভাবে চাকরির বাজার দখল করে ফেলেছে। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকারত্ব যখন বাড়ে, তখন মানুষ আশ্রয় খোঁজে সহজ সুযোগে। প্রতারক চক্র ঠিক এই দুর্বল জায়গাটাকেই ব্যবহার করছে। সরকারের উচিত কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ভেরিফায়েড জব পোর্টাল তৈরি করা, যেখানে সব চাকরির বিজ্ঞাপন যাচাই করা হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট-সব বিভাগীয় শহরেই প্রতারণার এই ধারা দেখা যাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকাতেও এখন তথাকথিত রিক্রুটিং এজেন্টরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা বিদেশে চাকরি বা এজেন্সি ছাড়াই নিয়োগ নামে টাকা নিচ্ছে। বিদেশগামী শ্রমিকদের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, চাকরির নামে প্রতারণা এখন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন কৌশলে বেকার তরুণদের স্বপ্ন কেড়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা-বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করার আগে যাচাই-বাছাই করা। চাকরি নয়, জীবনই হারিয়ে যাচ্ছে প্রতারণার ফাঁদে-তাই সময় এসেছে কঠোর আইন, নজরদারি ও সচেতনতার মাধ্যমে এই মহামারির বিরুদ্ধে যৌথভাবে দাঁড়াবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিজ্ঞাপনের আড়ালে প্রতারণা

আপডেট সময় :

চাকরির আশায় মানুষ আজ দিশেহারা। দেশের সর্বত্র বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় অসংখ্য তরুণ-তরুণী এখন ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব ভিডিও, এমনকি অফিসভিত্তিক দালাল চক্রের প্রতারণার জালে আটকা পড়ছে প্রতিনিয়ত। চাকরি দেবো-যোগাযোগ করুন এমন প্রলোভনমূলক বিজ্ঞাপন এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে পত্রিকার পাতায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিজ্ঞাপনগুলোর পেছনে রয়েছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ একাধিক ভুয়া চাকরি প্রতিষ্ঠান সনাক্ত করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা, ঘরে বসে কাজ করুন, দ্রুত নিয়োগ চলছে ইত্যাদি শিরোনামে বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের ডেকে নেয়। সাক্ষাৎকারের নামে নেয় জামানত, রেজিস্ট্রেশন ফি বা প্রশিক্ষণ ফি-এরপর আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায় না।
র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, অনেক প্রতিষ্ঠান কৌশলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। কেউ কেউ আবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ নেয়ার পর প্রার্থীর নম্বর ব্লক করে দেয়।
চাকরি প্রতারণার নতুন একটি ধারা হলো বিমা ও ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর নামে ফিল্ড অফিসার বা কাস্টমার এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগের প্রলোভন। প্রার্থীদের প্রথমে বলা হয়, আপনার চাকরি পাকা করতে হলে কিছু পলিসি বিক্রি করতে হবে। পরে দেখা যায়, চাকরির নামে তারা বাধ্য হচ্ছে নিজের আত্মীয়স্বজনের নাম ব্যবহার করে বিমা পলিসি নিতে। চাকরি না পেয়ে অনেকেই এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রাজধানীর গুলিস্তানের এক ভুক্তভোগী সুমন আহমেদ বলেন, চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে একটা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে গিয়েছিলাম। তারা বলল, ১০টা পলিসি বিক্রি করলে চাকরি পাকা। পরে বুঝলাম, এটা আসলে বিক্রয় কমিশন নির্ভর একটা ধোঁকা। এখন ফোন ধরছেও না তারা।
চাকরির নামে প্রতারণার নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে ঘন্টা-মাফিক চাকরি বা পার্টটাইম ইনকাম সেক্টরে। এসব চক্র তরুণ-তরুণীদের লক্ষ্য করে বলে, মোবাইলে কিছু কাজ করলেই ঘণ্টায় ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম। এর পেছনে মূলত থাকে তথাকথিত ডাটা-এন্ট্রি, সার্ভে, বা ক্লিকিং ওয়েবসাইট-যেগুলো বিদেশি মুদ্রা আয়ের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছু চক্র আবার মিথ্যা অনলাইন কোম্পানির নামে আগাম রেজিস্ট্রেশন ফি নেয় এবং পরে ওয়েবসাইট গায়েব হয়ে যায়।
বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারেও ‘শিক্ষক’ বা ‘অফিস সহকারী’ পদে চাকরির নামে প্রতারণা হচ্ছে। চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে প্রথমে কিছু অর্থ জমা নিতে বলা হয়, পরে ওই পদই বাতিল ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় এসব প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমোদন ছাড়াই ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়, ফলে ভুক্তভোগীরা আইনি সুরক্ষাও পান না।
রাজশাহীর বেকার যুবক রাকিব হোসেন বলেন, দেড় হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে। পরদিন অফিসে গেলে দেখি তালা ঝুলছে। ফোন বন্ধ। একই অভিজ্ঞতা পটুয়াখালীর মেহজাবিনের, যিনি ঘরে বসে কাজের নামে ২,০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন-ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের অজুহাতে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সাইবার ইউনিট জানিয়েছে, চাকরি প্রতারণা এখন দেশের অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল সাইবার অপরাধ। গেল বছর ২০২৪ সালে এমন প্রতারণার অভিযোগ এসেছিল প্রায় ২,৭০০টি, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। এখনও সেই ধারাবাহিকতা রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণা দমন আইনে এসব অপরাধের শাস্তি থাকলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী মামলা করতে ভয় পান বা প্রমাণ জোগাড় করতে পারেন না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতারক চক্রগুলো খুব সংগঠিত। তারা ভুয়া নাম-ঠিকানায় অফিস ভাড়া নেয়, অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়ে দ্রুত টাকা তুলে গা ঢাকা দেয়। আমরা এখন তাদের ট্রেস করার জন্য ডিজিটাল ফরেনসিক টিম ব্যবহার করছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতারকরা এভাবে চাকরির বাজার দখল করে ফেলেছে। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেকারত্ব যখন বাড়ে, তখন মানুষ আশ্রয় খোঁজে সহজ সুযোগে। প্রতারক চক্র ঠিক এই দুর্বল জায়গাটাকেই ব্যবহার করছে। সরকারের উচিত কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ভেরিফায়েড জব পোর্টাল তৈরি করা, যেখানে সব চাকরির বিজ্ঞাপন যাচাই করা হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট-সব বিভাগীয় শহরেই প্রতারণার এই ধারা দেখা যাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকাতেও এখন তথাকথিত রিক্রুটিং এজেন্টরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা বিদেশে চাকরি বা এজেন্সি ছাড়াই নিয়োগ নামে টাকা নিচ্ছে। বিদেশগামী শ্রমিকদের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, চাকরির নামে প্রতারণা এখন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন কৌশলে বেকার তরুণদের স্বপ্ন কেড়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা-বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করার আগে যাচাই-বাছাই করা। চাকরি নয়, জীবনই হারিয়ে যাচ্ছে প্রতারণার ফাঁদে-তাই সময় এসেছে কঠোর আইন, নজরদারি ও সচেতনতার মাধ্যমে এই মহামারির বিরুদ্ধে যৌথভাবে দাঁড়াবার।