ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিদেশ পাঠিয়ে কাজ না দেওয়ায় বিপাকে, আাদালতে মামলা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৫৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দরিদ্র পীরিত আকরাম ব্যাপারীর ছেলে শাকিল ব্যাপারী।গত ২৪ সালের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদী আরব যাওয়ার জন্য সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের তোমছেরের ছেলে মজিদকে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সৌদী আরব পাঠানোর পর শাকিল ব্যাপারীকে কোন কাজ দেওয়া হয়নি।এক বছরেরও বেশি সময় পেড়িয়ে গেলেও কাজ ও আকামা কোন কিছু না পাওয়ায় বেকার দিন কাটাতে হচ্ছে শাকিলকে।এতে দরিদ্র শাকিল ও শাকিলের পরিবার বিপাকে পরেছেন। বর্তমানে শাকিলের খাবারের খরচও বাড়ি থেকে পাঠাতে হচ্ছে।এতে দরিদ্র শাকিলের বাবা মারাত্নক অসহায় জীবন যাপন করছেন।অঙ্গিকার নামায় সৌদি আরবে কাজ ও আকামা দিতে না পারলে শাকিলকে দেশে আনা ও তার ছেলেকে দেশে ফিরে আসার সব টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সে অনুযায়ী কথা রাখেননি। আজ কাল করে ঘুরাইতে থাকায় সবশেষে বাদী শাকিলের বাবা আকরাম আদালতে গত ২৩ নভেম্বর ২৫ তারিখে মামলা দায়ের করেন। বাদীকে বিদেশে রেষ্টুরেন্টে ক্লিনারের কাজ ও আকামা দেওয়ার কথা থাকলেও বিবাদী শাকিলকে তা না দিয়ে প্রতারনার আশ্রয়ে আত্মসাত ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাই বাদী আকরাম ব্যাপারী কোন উপায়ান্তর না দেখে এ ব্যাপারটি সমাধানে রাজবাড়ী বিজ্ঞ আমলী আদালতে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ দারায় মামলা দায়ের করেছেন।
খানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক তকদির চেয়ারম্যানের বেলগাছি বাজারে অবস্তিত দোকানে বসে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বাদী পক্ষ বিবাদী পক্ষকে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
মামলার স্বাক্ষী আবুল হোসেন জানায়,বিদেশের ব্যাপারে আকরাম ব্যাপারীর ছেলে শাকিল ব্যাপারীকে খানগঞ্জ ইউনিয়নের তোমছেরের ছেলে মজিদ সৌদী আরব পাঠায়।কিন্তু শাকিলকে সেখানে যে কোম্পানিতে আকামা সহ কাজ দেওয়ার কথা ছিলো,সে অনুযায়ী মজিদ কাজ ও আকামা কোনটিই দেয়নি।এ কারনে শাকিল সেখানে কাজ করতে না পেরে বেকার জীবন যাপন করতেছে। শাকিলের পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় তার বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে কষ্টে চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তার সাথে লিখিত অঙ্গিকার নামা করা হয়।আগামী দুই মাসের মধ্যে রেষ্টুরেন্ট’এ কাজ সহ আকামা না দিতে পারলে মজিদ পুরো ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সহ শাকিলকে দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।কিন্তু বছর শেষ হলেও এর কোন সুরাহ করেননি। শুধু তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করছেন।
আরো এক সাক্ষি খানগঞ্জ ইউনিয়নের রহমান জানান, বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি আমি জানি।কিন্তু মজিদ তার অঙ্গিকারনামায় যা বলেছিলো সে অনুযায়ী কাজ করেনি।টাকা পয়সার লেনদেনের বিষয়টি আমি অবগত আছি।শাকিলকে সৌদী আরব পাঠিয়ে তার বাবা আকরাম ব্যাপারী এখন বিপদগ্রস্থ্য হয়ে পরেছেন।কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি কোন প্রতিকার এখনো পাননি।
সৌদী আরবে পাঠানো প্রতারক মজিদ বলেন, আমরা যখন শাকিলকে সৌদি পাঠাই তখন সে কিছুদিন কাজ পায়নি।শাকিলের কাজ ও আকামা না দিতে পারায় তার কাজ ও আকামা দেওয়ার জন্য একটি অঙ্গিকার নামা করা হয়। সে অনুযায়ী তাকে কাজ ও আকামা দুটিই দেওয়া হয়েছে। যদি সে এখনো কোন কাজ না পায় বা আকামা না হয় তার সব ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে।
খানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহার হোসেন তকদির জানান,আমি বিষয়টি জানি।দুই পক্ষই আমার কাছে এসেছিলো।কিন্তু টাকা পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমার দোকানেও কোন লেনদেন হয়নি। তবে মজিদ’কে বলেছি এই ব্যাপারটা দ্রুত সমাধান কারতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিদেশ পাঠিয়ে কাজ না দেওয়ায় বিপাকে, আাদালতে মামলা

আপডেট সময় :

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দরিদ্র পীরিত আকরাম ব্যাপারীর ছেলে শাকিল ব্যাপারী।গত ২৪ সালের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদী আরব যাওয়ার জন্য সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের তোমছেরের ছেলে মজিদকে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সৌদী আরব পাঠানোর পর শাকিল ব্যাপারীকে কোন কাজ দেওয়া হয়নি।এক বছরেরও বেশি সময় পেড়িয়ে গেলেও কাজ ও আকামা কোন কিছু না পাওয়ায় বেকার দিন কাটাতে হচ্ছে শাকিলকে।এতে দরিদ্র শাকিল ও শাকিলের পরিবার বিপাকে পরেছেন। বর্তমানে শাকিলের খাবারের খরচও বাড়ি থেকে পাঠাতে হচ্ছে।এতে দরিদ্র শাকিলের বাবা মারাত্নক অসহায় জীবন যাপন করছেন।অঙ্গিকার নামায় সৌদি আরবে কাজ ও আকামা দিতে না পারলে শাকিলকে দেশে আনা ও তার ছেলেকে দেশে ফিরে আসার সব টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সে অনুযায়ী কথা রাখেননি। আজ কাল করে ঘুরাইতে থাকায় সবশেষে বাদী শাকিলের বাবা আকরাম আদালতে গত ২৩ নভেম্বর ২৫ তারিখে মামলা দায়ের করেন। বাদীকে বিদেশে রেষ্টুরেন্টে ক্লিনারের কাজ ও আকামা দেওয়ার কথা থাকলেও বিবাদী শাকিলকে তা না দিয়ে প্রতারনার আশ্রয়ে আত্মসাত ও বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাই বাদী আকরাম ব্যাপারী কোন উপায়ান্তর না দেখে এ ব্যাপারটি সমাধানে রাজবাড়ী বিজ্ঞ আমলী আদালতে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ দারায় মামলা দায়ের করেছেন।
খানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক তকদির চেয়ারম্যানের বেলগাছি বাজারে অবস্তিত দোকানে বসে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বাদী পক্ষ বিবাদী পক্ষকে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
মামলার স্বাক্ষী আবুল হোসেন জানায়,বিদেশের ব্যাপারে আকরাম ব্যাপারীর ছেলে শাকিল ব্যাপারীকে খানগঞ্জ ইউনিয়নের তোমছেরের ছেলে মজিদ সৌদী আরব পাঠায়।কিন্তু শাকিলকে সেখানে যে কোম্পানিতে আকামা সহ কাজ দেওয়ার কথা ছিলো,সে অনুযায়ী মজিদ কাজ ও আকামা কোনটিই দেয়নি।এ কারনে শাকিল সেখানে কাজ করতে না পেরে বেকার জীবন যাপন করতেছে। শাকিলের পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় তার বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে কষ্টে চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তার সাথে লিখিত অঙ্গিকার নামা করা হয়।আগামী দুই মাসের মধ্যে রেষ্টুরেন্ট’এ কাজ সহ আকামা না দিতে পারলে মজিদ পুরো ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সহ শাকিলকে দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।কিন্তু বছর শেষ হলেও এর কোন সুরাহ করেননি। শুধু তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করছেন।
আরো এক সাক্ষি খানগঞ্জ ইউনিয়নের রহমান জানান, বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি আমি জানি।কিন্তু মজিদ তার অঙ্গিকারনামায় যা বলেছিলো সে অনুযায়ী কাজ করেনি।টাকা পয়সার লেনদেনের বিষয়টি আমি অবগত আছি।শাকিলকে সৌদী আরব পাঠিয়ে তার বাবা আকরাম ব্যাপারী এখন বিপদগ্রস্থ্য হয়ে পরেছেন।কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি কোন প্রতিকার এখনো পাননি।
সৌদী আরবে পাঠানো প্রতারক মজিদ বলেন, আমরা যখন শাকিলকে সৌদি পাঠাই তখন সে কিছুদিন কাজ পায়নি।শাকিলের কাজ ও আকামা না দিতে পারায় তার কাজ ও আকামা দেওয়ার জন্য একটি অঙ্গিকার নামা করা হয়। সে অনুযায়ী তাকে কাজ ও আকামা দুটিই দেওয়া হয়েছে। যদি সে এখনো কোন কাজ না পায় বা আকামা না হয় তার সব ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে।
খানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহার হোসেন তকদির জানান,আমি বিষয়টি জানি।দুই পক্ষই আমার কাছে এসেছিলো।কিন্তু টাকা পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমার দোকানেও কোন লেনদেন হয়নি। তবে মজিদ’কে বলেছি এই ব্যাপারটা দ্রুত সমাধান কারতে।