বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই -ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

- আপডেট সময় : ০১:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
আমাদের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী এবং সংস্কার করতে পাবলিক প্রাইভেট অথবা জিটুজি পদ্ধতির বিনিয়োগ চাই। আমরা বিনিয়োগের নতুন পথ খুলতে চাই। গত রোববার ডাক ভবনে ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ দপ্তর সংস্থার প্রধানরা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাইকেল মিলার নীতিকাঠামো, ইইউর বিনিয়োগ, প্রকল্পে অর্থায়নসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন। ইইউ বাংলাদেশের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মিলার। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা ডিজিটাল রূপান্তরের মাস্টার প্ল্যান এবং আইসিটি রোডম্যাপের খসড়া সংস্করণ প্রস্তুত করেছি এবং অনুরূপ রোডম্যাপ প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা ১০টি স্তম্ভকে লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছি, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি সেবাগুলোর ডিজিটালাইজেশন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি। ডেটা এক্সচেঞ্জ এবং ডেটা গভর্নেন্স সম্পর্কে আমাদের খুব বড় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, আমরা ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টে গুরুত্ব দিচ্ছি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়েও কাজ চলছে বলে তিনি জানান। রাষ্ট্রদূত মিলার ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশেষ সহকারী বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরের কৌশল এর মাস্টার প্ল্যানের ক্ষেত্রেও স্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নেওয়া হবে। আশা করছি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এটি একটি রূপ পাবে। বিশেষ সহকারী বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আরও কিছুদিন কাজ চলবে তারপর আমরা চারটি স্তরে জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করব। প্রথমত আমরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলব, এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যম কর্মী এবং সর্বশেষ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করা হবে। আইসিটি এবং সাইবার সম্পদগুলোর মানোন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি আমরা শুধুমাত্র সরকারি সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এর পাশাপাশি, আমরা সিআইআই (ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার) এর ওপর ফোকাস করছি। আমরা কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্বারোপ করছি। এক্ষেত্রে ইইউ এবং ই-গভর্নেন্স টিমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি। প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের জন্যও তিনি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত মিলার ব্রাসেলসে আসন্ন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে আমন্ত্রণ জানান।