ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

বিপজ্জনক ১৯ কনটেইনার ধ্বংস, নিলামে ধীরগতি

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন বন্দরে বিপুলসংখ্যক বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার পড়ে রয়েছে। যা বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় জন্য হুমকি। সম্প্রতি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে ফের কনটেইনারগুলোর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়। আর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ১৯টি বিপজ্জনক পণ্য সমৃদ্ধ কনটেইনার ধ্বংস করে। যদিও বন্দরে ৩ শতাধিক বিপজ্জনক কেমিক্যাল বোঝাই কনটেইনার পড়ে রয়েছে। কিন্তু এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনারগুলোতে থাকা কেমিক্যাল ধ্বংসও করতে পারছে না। বছরের পর বছর ধরে ওসব বিপজ্জনক কেমিক্যালে বোঝাই কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে। তাতে বন্দরের নিরাপত্তার মারাত্মক ঝুঁকির পাশাপাশি সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। আর জায়গার অভাবে বন্দরের সৃষ্টি হচ্ছে কনটেইনার জট। কাস্টমস বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামযোগ্য ৩৩৯টি কনটেইনার বছরের পর বছর জমে আছে। বন্দরের ইয়ার্ডে সংরক্ষণ করা যায় ৫৩ হাজার ৫১৮ কনটেইনার। বন্দরে সাধারণত ৩০ দিন হওয়ার পর নিলামযোগ্য হয়ে যায় আমদানি করা পণ্য। কিন্তু পড়ে থাকা বিপজ্জনক কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনারগুলোর কারণে বছরে প্রায় ১ লাখ টিইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা যায়নি। তাছাড়া কনটেইনারগুলোর কারণে বন্দরের সার্বিকভাবে সেগুলো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে দ্রুত নিলাম ডেকে কনটেইনারে থাকা বিপজ্জনক রাসায়নিক ধ্বংস করা হোক। কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে এর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় চিঠিও দিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০২০ সালে লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরকের মজুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা খাবা বিপজ্জনক কেমিক্যাল কনটেইনারগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা ঝিমিয়ে পড়ে।
চিঠি চালাচালি ছাড়া কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে চলতি বছর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করা বিপজ্জনক ৩৩৯টি কনটেইনার ধ্বংসের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আমদানি হওয়া ৫৩টি কনটেইনার ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনারগুলো ধ্বংস করতে পারেনি। কারণ কাস্টমস আইন অনুযায়ী পণ্য ধ্বংস এবং নিলামের এখতিয়ার শুধু কাস্টম হাউসের। সেজন্য কনটেইনারগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম করতে পারবে না। ফলে কনটেইনারগুলো সরাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নেওয়া উদ্যোগ থেমে যায় সেখানেই। অথচ বিপজ্জনক কেমিক্যাল থাকায় কনটেইনারগুলোর জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়,চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের গঠিত কমিটি ৫৩টি কনটেইনার ধ্বংস করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার মধ্যে ১৬টিতে আছে আনকোডেট ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডার। ওই কনটেইনারগুলো ২০১৭ সালে আমদানি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে আমদানি করা সোডিয়াম সালফেট বোঝাই কনটেইনার রয়েছে ১৪টি, ২০১০ সালে আমদানি করা একই পণ্যে বোঝাই কনটেইনার আছে আটটি। সেগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাসায়নিকে বোঝাই আরো কিছু কনটেইনারসহ মোট ৫৩টি কনটেইনার ধ্বংসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয়। ওসব বিপজ্জনক কেমিক্যাল কনটেইনার ধ্বংসের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
এদিকে গত ২৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরের ১৯টি কনটেইনারের রাসায়নিক কেমিক্যাল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। এ কাজে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার সদস্য এবং স্থানীয় বন্দর থানা পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন। ধ্বংস হওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট- ১৬ কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন-১ কনটেইনার, সুইট হুই পাউডার-১ কনটেইনার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার-১ কনটেইনার। কনটেইনারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা কমিটির এ ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা। তার আগে গত বছর অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ১৪ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য পণ্য অপসারণ ও ধ্বংস করেছিল।
অন্যদিকে এ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ইয়ার্ডে এখনো তিনশর বেশি বিপজ্জনক কনটেইনার পড়ে আছে। ওসব কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। ধ্বংসযোগ্যও রয়েছে কিছু, যা দ্রুত ধ্বংস করা জরুরি। ওই কারণে কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিয়ত বাড়তি সতর্কতা নিতে হচ্ছে। ওসব কনটেইনারের কারণে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আব্দুস সাত্তার জানান, ধ্বংসযোগ্য কনটেইনারের বিষয়ে কাস্টম বিভাগ কাজ করছে। কাস্টমসের ওসব কনটেইনার ধ্বংসের সক্ষমতা নেই। এর আগে লাফার্জ হোলসিম ধ্বংস করেছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি আর করবে না বলে জানিয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে বন্দরের কাছে ধ্বংসের জন্য যেসব কনটেইনার হস্তান্তর করা হয়েছিল, বন্দর তা ধ্বংস করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। বিপজ্জনক ওসব কনটেইনার ধ্বংসের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনাও চায়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিপজ্জনক ১৯ কনটেইনার ধ্বংস, নিলামে ধীরগতি

আপডেট সময় :

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন বন্দরে বিপুলসংখ্যক বিপজ্জনক পণ্যের কনটেইনার পড়ে রয়েছে। যা বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় জন্য হুমকি। সম্প্রতি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে ফের কনটেইনারগুলোর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়। আর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ১৯টি বিপজ্জনক পণ্য সমৃদ্ধ কনটেইনার ধ্বংস করে। যদিও বন্দরে ৩ শতাধিক বিপজ্জনক কেমিক্যাল বোঝাই কনটেইনার পড়ে রয়েছে। কিন্তু এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনারগুলোতে থাকা কেমিক্যাল ধ্বংসও করতে পারছে না। বছরের পর বছর ধরে ওসব বিপজ্জনক কেমিক্যালে বোঝাই কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে। তাতে বন্দরের নিরাপত্তার মারাত্মক ঝুঁকির পাশাপাশি সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। আর জায়গার অভাবে বন্দরের সৃষ্টি হচ্ছে কনটেইনার জট। কাস্টমস বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামযোগ্য ৩৩৯টি কনটেইনার বছরের পর বছর জমে আছে। বন্দরের ইয়ার্ডে সংরক্ষণ করা যায় ৫৩ হাজার ৫১৮ কনটেইনার। বন্দরে সাধারণত ৩০ দিন হওয়ার পর নিলামযোগ্য হয়ে যায় আমদানি করা পণ্য। কিন্তু পড়ে থাকা বিপজ্জনক কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনারগুলোর কারণে বছরে প্রায় ১ লাখ টিইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা যায়নি। তাছাড়া কনটেইনারগুলোর কারণে বন্দরের সার্বিকভাবে সেগুলো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে দ্রুত নিলাম ডেকে কনটেইনারে থাকা বিপজ্জনক রাসায়নিক ধ্বংস করা হোক। কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে এর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় চিঠিও দিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০২০ সালে লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরকের মজুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা খাবা বিপজ্জনক কেমিক্যাল কনটেইনারগুলো সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা ঝিমিয়ে পড়ে।
চিঠি চালাচালি ছাড়া কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে চলতি বছর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করা বিপজ্জনক ৩৩৯টি কনটেইনার ধ্বংসের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আমদানি হওয়া ৫৩টি কনটেইনার ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনারগুলো ধ্বংস করতে পারেনি। কারণ কাস্টমস আইন অনুযায়ী পণ্য ধ্বংস এবং নিলামের এখতিয়ার শুধু কাস্টম হাউসের। সেজন্য কনটেইনারগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম করতে পারবে না। ফলে কনটেইনারগুলো সরাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নেওয়া উদ্যোগ থেমে যায় সেখানেই। অথচ বিপজ্জনক কেমিক্যাল থাকায় কনটেইনারগুলোর জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়,চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের গঠিত কমিটি ৫৩টি কনটেইনার ধ্বংস করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার মধ্যে ১৬টিতে আছে আনকোডেট ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাউডার। ওই কনটেইনারগুলো ২০১৭ সালে আমদানি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে আমদানি করা সোডিয়াম সালফেট বোঝাই কনটেইনার রয়েছে ১৪টি, ২০১০ সালে আমদানি করা একই পণ্যে বোঝাই কনটেইনার আছে আটটি। সেগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাসায়নিকে বোঝাই আরো কিছু কনটেইনারসহ মোট ৫৩টি কনটেইনার ধ্বংসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয়। ওসব বিপজ্জনক কেমিক্যাল কনটেইনার ধ্বংসের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
এদিকে গত ২৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরের ১৯টি কনটেইনারের রাসায়নিক কেমিক্যাল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। এ কাজে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার সদস্য এবং স্থানীয় বন্দর থানা পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন। ধ্বংস হওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট- ১৬ কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন-১ কনটেইনার, সুইট হুই পাউডার-১ কনটেইনার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার-১ কনটেইনার। কনটেইনারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। নিলাম অযোগ্য ও বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা কমিটির এ ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিনিধিরা। তার আগে গত বছর অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ১৪ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থাকা চারটি অতি দাহ্য পণ্য অপসারণ ও ধ্বংস করেছিল।
অন্যদিকে এ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, ইয়ার্ডে এখনো তিনশর বেশি বিপজ্জনক কনটেইনার পড়ে আছে। ওসব কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। ধ্বংসযোগ্যও রয়েছে কিছু, যা দ্রুত ধ্বংস করা জরুরি। ওই কারণে কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিয়ত বাড়তি সতর্কতা নিতে হচ্ছে। ওসব কনটেইনারের কারণে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আব্দুস সাত্তার জানান, ধ্বংসযোগ্য কনটেইনারের বিষয়ে কাস্টম বিভাগ কাজ করছে। কাস্টমসের ওসব কনটেইনার ধ্বংসের সক্ষমতা নেই। এর আগে লাফার্জ হোলসিম ধ্বংস করেছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি আর করবে না বলে জানিয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে বন্দরের কাছে ধ্বংসের জন্য যেসব কনটেইনার হস্তান্তর করা হয়েছিল, বন্দর তা ধ্বংস করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। বিপজ্জনক ওসব কনটেইনার ধ্বংসের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনাও চায়া হচ্ছে।